শ্রীমঙ্গল কালাপুরে বিনামূলে জিংক ধানের বীজ বিতরন ও ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের জেলার শ্রীমঙ্গলে কালাপুর ইউনিয়নে আমন মৌসুমে চাষের জন্য জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান-৬২ জাতের বীজ বিনামূল্যে বিতরন ও কৃষকদের নিয়ে এক ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদ হল রুমে হারভেষ্টপ্লাস বাংলাদেশ ও এগ্রিকালচারাল এডভাইজরি সোসাইটি (আস) এর আয়োজনে ও সহায়তায় এ বীজ বিতরন ও ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়। কৃষি সম্প্রসারণ কর্মী মো: মহিবুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: আব্দুল মতলিব।
সুব্রত কুমার ঘোষ ও আব্দুল কাদির জিলানী পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ম্যাক বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক এস এ হামিদ ও ইউপি সদস্য প্রতীশ কুমার দেব।
ইউনিয়নের সিরাজনগর, লামুয়া, কালাপুর, ভাগলপুর, পাঠানপাড়া, মনারগাঁও, ও মাজডিহিসহ ৭টি গ্রামের ১১০ জন কৃষকের মধ্যে ৮৭টি ৪কেজি প্যাকেট ও ২৩টি ৫ কেজি প্যাকেট বীজ বিতরন করা হয়। ধান বীজ বিতরন ওরিয়েন্টশন শেষে বীজের সাথে ’’ রোপা আমন মৌসুম ব্রি ধান-৬২ চাষের মূলকথা’’ নামক একখানা লিফলেট দেওয়া হয়েছে।
বক্তাগন উপস্থিত কৃষকদের উদ্দেশ্যে জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান-৬২ চাষের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব তোলে ধরেন। বিশেষ করে আমন মৌসুমে ১০০দিনে অধিক ফলনশীল উন্নত জাতের এ ধান পরিমিত সার ব্যবহার ও ১৫ থেকে ২০দিন বয়সের চারা রোপনসহ ভাল ব্যবস্থাপনা করলে বিঘা প্রতি ১৮ থেকে ২২মন ফলন পাওয়া যাবে। জিংক সমৃদ্ধ এ ধানের বৈশিষ্ট্য প্রতি কেজি চালে ১৯ গ্রাম জিংক থাকে এবং প্রোটিনের পরিমাণ ৯%, ভাত খেতে সুস্বাদু তবে ভাত একটু নরম এবং শরীর সুস্থ ও হাসি খুশি জীবনযাপন এর জন্য এ ধানের চাল সারাবছর খাওয়া একান্ত প্রয়োজন। আলোচনা শেষে অত্র কৃষকরা অত্যান্ত আগ্রহের সহিত এ ধান চাষের অভিমতব্যক্ত করেন বিশেষ করে ইউনিয়ন পর্যায়ে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি অফিসার ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মীদের সার্বিক যোগাযোগ, তত্বাবধান ও সহযোগিতা একান্তভাবে প্রত্যাশা করেন। এ বিষয়ে সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোশকতা অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তা ব্যক্ত করেন।