বিশ্বনাথে দুই গ্রামবাসীর সংর্ঘষ : নারীসহ আহত অর্ধশতাধিক
তজম্মুল আলী রাজু, বিশ্বনাথঃ সিলেটের বিশ্বনাথে দুই গ্রামবাসী সংর্ঘষে নারীসহ অনন্ত অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের কাদিরপুর নামক স্থানে রামপাশা ও কাদিপুর গ্রামবাসীর মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। প্রায় ঘন্টাব্যাপি এ সংর্ঘষ চলে। এতে জনপ্রতিনিধি,শালিসি ব্যক্তি সংঘর্ষে আহত হয়েছেন। সংর্ঘষে আহতরা হলেন রামপাশা গ্রামের রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার খান (৪৮), কাওছার আহমদ তুলাই (৪০), ফয়জুন নূর (৪৫), তোরন মিয়া (৩৫), ইসলামউদ্দিন (৩০), হাফছা বেগম (৩৫), কাদিরপুর গ্রামের দিলারা বেগম (৪০), সুফিয়া বেগম (৬০), শানুর আলী (৪৫), আবদুস সত্তার (৫০), মাহবুব আলম (২০), মুছা (১৭), গুলিবৃদ্ধ আবদুল হক (৪০), সাহেদ (২০), সফি আলম (২০), ইরন মিয়া (৩৫), ইন্তাজ আলী (৫৫), মোহাম্মদ (৪০), আঙ্গুর মিয়া (৫০), লিয়াতক (৩৫), মুহিব (১৮), ছইল মিয়া (২৭), আবুল কালাম (২৫), আশরাফ (১৮), আখলুছ আলী (৬০), তৈমছু আলী (৫৫), বশির (৩৫), নুরজ্জামান (২৪), ইমন (১০), আবুল কালাম (৪৪), শালিসি ব্যক্তি গয়াছ মিয়া (৪৮), লেখনদর আলী (৬০), হরমুজ আলী (৭০), আবদুল মতিন (৪৫)। গুরুতর আহতদের সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। খবর পেয়ে থানার অফিসার ইন-চার্জ এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এসময পুলিশ তিন রাউন্ড শর্টগানের কার্তুজ ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আসাদুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
জানাগেছে, গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রামপাশা গ্রামের তুরন মিয়ার বোন অন্তসত্ত্বা হাফছা বেগমসহ দুই নারী কাদিরপুরস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসনে। এসময় কাদিরপুর গ্রামে শানুর আলীর সঙ্গে হাসপাতালের ভিতরে ওষুধ নিয়ে তাদের ঝগড়া শুরু হয়। এমন খবর মহুর্তে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় গ্রামবাসী মাইকে ঘোষনা দিয়ে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ঘন্টাব্যাপি সংর্ঘষে নারীসহ অনন্ত অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। হাসপাতালের পাশে কাদিপুর গ্রামের শানুর আলীর র্ফামেসী রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান।
এব্যাপারে রামপাশা গ্রামের তোরণ মিয়া বলেন, আমার অন্তসত্ত্বা বোন হাফসা বেগমসহ দুই নারী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যায়। এসময় কাদিপুর গ্রামের শানুর আলী তাদের ওপর হামলা করে। খবর পেয়ে গ্রামবাসী হাসপাতালে ছুটে যাই। এতে কাদিপুর গ্রামবাসী আমাদের ওপর হামলা চালায়।
কাদিরপুর গ্রামের শানুর আলী বলেন, হঠাৎ করে রামপাশা গ্রামাবাসী আমার দোকান ঘরে হামলা চালিয়ে লুঠপাঠ শুরু করে। এসময় বাধা দিলে তাদের সঙ্গে সংর্ঘষ বাধে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার খান পুলিশের কাছ থেকে বন্ধুক নিয়ে আমাদের ওপর গুলি করে। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয় তিনি জানান।
রামপাশা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার খান বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা দুই নারী ওপর হামলার ঘটনার জের ধরে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। এসময় তিনিও আহত হন বলে দাবি করেন। তার নেতৃৃত্বে হামলার বিষয়টি সঠিক নয় বলে তিনি জানান।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ মো. রফিকুল হোসেন বলেন, সংর্ঘষে চলাকালে পুলিশ তিন রাউন্ড কার্তুজ ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে তিনি জানান।