অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ বন্যার
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ ব্লগার অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের তদন্তের ধীর গতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা। এ হত্যার রহস্য উদঘাটনে সরকারের আন্তরিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (০২ জুলাই) লন্ডনে হিউম্যানিস্ট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘পেন ভলতেয়ার’ বক্তব্যে বন্যা তার স্বামীর হত্যা তদন্ত নিয়ে তার এ অসন্তোষ প্রকাশ করেন। বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, অভিজিৎ রায়ের হত্যাকাণ্ডের পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে কেউ তার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।
তিনি বলেন, ‘It is like I don’t exist to them’। বন্যা তার বক্তব্যে স্বামী হত্যার সেই লোমহর্ষক বর্বরোচিত ঘটনার বর্ণনা দেন হলভর্তি শ্রোতাদের কাছে। মানবতাবাদীদেরকে যার যার অবস্থান থেকে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে, বক্তব্যে এমন আহ্বান জানালেও দেশে বসবাকারী ব্লগার ও একটিভিস্টদের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন বন্যা। ব্রিটেনের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের সদস্যদের উপস্থিতিতে পুরো হল ভর্তি থাকলেও অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি একটিভিস্টদের উপস্থিতি ছিল হাতে গোনা কয়েকজন মাত্র।
ইন্টারন্যশনাল ক্রাইম স্ট্রেটেজি ফোরামের সদস্য ও অনলাইন এক্টিভিস্ট রায়হান রশীদ দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, কষ্ট লাগে, লন্ডনে মন্টিফিউরি হলে কিছু হলে যে সব প্রগতিশীলরা হাজিরা দেন, হাইকমিশনে কিছু হলে যে সব প্রগতিশীলরা যেভাবে উপস্থিত হন, তাদের কাউকে আজকে দেখলাম না।
তিনি বলেন, আমি অক্সফোর্ড থেকে গেছি, রাত একটা বাজে বাসায় ফিরেছি। লন্ডনে যারা থাকেন তাদের জন্য তো এটা এতো কঠিন ছিল না।
রায়হান বলেন, অভিজিৎদাকে মেরে ফেলা হলো-বন্যা আপা সেই আমেরিকা থেকে আসলেন-সারা দুনিয়ার মানুষ এসে দুই দু’বার দাঁড়িয়ে স্ট্যান্ডিং ওভেশন দিল উনাকে, অথচ একটু সহানুভূতি জানানোর জন্যও লন্ডনের বাঙালি প্রগতিশীলরা উপস্থিত হতে পারলেননা।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে একুশে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দুর্বৃত্তরা ব্লগার অভিজিত রায়কে কুপিয়ে হত্যা করে। তখন ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলেন অভিজিৎ রায়ের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা। কয়েকদিন ঢাকায় চিকিৎসা নেওয়ার পর আহত অবস্থায় রাফিদা আহমেদ বন্যাকে যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের পর সন্দেহভাজন হিসেবে একজনকে আটক করা হলেও এখনো পর্যন্ত তদন্তে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। যাকে আটক করা হয়েছিল সেই ব্যক্তি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কতটা জড়িত সে বিষয়ে পুলিশ এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি।