কানাইঘাটে নিখোঁজ কিশোরের জবাই করা লাশ উদ্ধার
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ কানাইঘাট থেকে নিখোঁজের দুইদিন পর এক কিশোরের জবাই করা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কানাইঘাট উপজেলার দূর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন সুতারখাল থেকে উসমান গণি মুসা (১৭) নামের ওই কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়। গত ৩০ জুন রাতে মুসা কানাইঘাট বাজারে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ চার যুবককে আটক করেছে। উসমান গণি মুসা জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের লক্ষীপ্রসাদ কান্দিগাঁও গ্রামের মন্তাজ আলী ময়নার ছেলে।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটককৃতরা হলেন- দরবস্ত ইউনিয়নের চাক্তা গ্রামের সোলেমান আহমদের ছেলে রেজওয়ান আহমদ (১৯), লক্ষ্মীপ্রসাদ কান্দিগাঁওয়ের মৃত মন্তাজ উদ্দিনের ছেলে ফখরুজ্জামান (২৯), একই গ্রামের মৃত বকুল মালাকারের ছেলে মকুল মালাকার (২৬) ও হারাতৈল গ্রামের রকিবুল ইসলামের ছেলে নাজমুল ইসলাম ফয়সল (২১)।
নিহত উসমান গণির বাবা মন্তাজ আলী জানান- ৩০ জুন রাত সাড়ে ৮টার দিকে কানাইঘাট বাজারে যায় উসমান গণি। এরপর সে আর বাসায় ফিরেনি। পরদিন তিনি জৈন্তাপুর থানায় জিডি করতে গেলে ঘটনাস্থল কানাইঘাট হওয়ায় ওই থানায় তাকে জিডি করতে বলা হয়। বৃহস্পতিবার তিনি কানাইঘাট থানায় জিডি করতে গিয়ে উসমানের লাশ উদ্ধারের খবর পান।
কানাইঘাট থানার ওসি আবদুল আউয়াল জানান- বৃহস্পতিবার দুপুরে সুতারখালে এক কিশোরের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন। পরে উসমান গণির বাবা লাশটি তার ছেলের বলে সনাক্ত করেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
জৈন্তাপুর থানার ওসি গোলক চন্দ্র বসাক জানান- উসমান গণি হত্যাকান্ডের ঘটনায় জৈন্তাপুর থেকে চার যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা জানিয়েছে নিখোঁজ হওয়ার রাতে কানাইঘাটের চতুল বাজারে উসমান গণির সাথে তারা এনার্জি ড্রিংকসের সাথে ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে নেশা করেছে। এরপর যে যার মতো করে বাড়ি ফিরেছে। তাদের কথাবার্তা সন্দেহজনক হওয়ায় আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কানাইঘাট পুলিশের কাছে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়েছে।