হোটেল গুলশানে গ্রেনেড হামলা মামলা : সাবেক মেয়র কামরান, ছেলেসহ ৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ

Kamran and Sonসুরমা টাইমস ডেস্কঃ নগরীর তালতলাস্থ হোটেল গুলশানে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, তাঁর ছেলে ডা. আরমান আহমদ শিপলুসহ তিনজনের গতকাল বুধবার আদালত গ্রহণ করেছেন। সাক্ষ্যদানকারী অপর ২ জন হলেন, বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের ছেলে ডা. আরমান আহমদ শিপলু এবং হোটেল গুলশানের ম্যানেজার প্রতাব চন্দ্র দাস।
গতকাল সকালে অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইফতেখার বিন আজিজ তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এ নিয়ে এ মামলায় মোট ৬৮ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। ওই মামলায় আদালত আগামী ১ জুলাই পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন।
আদালত সুত্রে জানা যায়, সিলেট নগরীর তালতলাস্থ হোটেল গুলশানে গ্রেনেড হামলা মামলার (কোতোয়ালি থানার ৩৬ (০৮-০৮-০৪) ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৭৪/২০১৩) আসামি ৮ জন। এর মধ্যে আসামি হরকাতুল জিহাতের জেএমবি হুমায়ুন কবির হিমু ও মাওলানা তাজ উদ্দিন পলাতক রয়েছে। গতকাল হাজতি দেলোয়ার হোসেন রিপনকে জেল হাজত থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার আসামি হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান, শরীফ সাহেদুল আলম বিপুল, মুফতি মঈন উদ্দিন শেখ ওরফে জান্দাল, মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজর রহমান ওরফে মফিজ ওরফে অভি ও মো. আব্দুল মাজেদ ভাট ওরফে ইউসুফকে আদালতে আনা হয়নি।
২০০৪ সালের ৭ আগস্ট হোটেল গুলশানে মহানগর আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠিত সভা শেষে নেতাকর্মীরা বের হয়ে যাওয়ার সময় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। হামলায় নিহত হন মহানগর আওয়ামী লীগের তৎকালীন প্রচার সম্পাদক মো. ইব্রাহিম। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (তৎকালীন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। বিস্ফোরণের কিছুক্ষণ আগে হোটেল চত্বর ত্যাগ করায় বেঁচে যান মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান।
এ ঘটনায় সিলেট কোতোয়ালি থানার তৎকালীন এসআই এনামুল হক বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে কোতোয়ালি থানায় ৩৬ (০৮-০৮-০৪) নম্বর মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে সর্বশেষ ২০১৩ সালের ১৭ জুলাই ঢাকা সিআইডি’র অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার রওনকুল হক চৌধুরী জেএমবি’র শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। গত বছরে এ মামলার চার্জ গঠন করা হয়। গত ১৫ জুন থেকে মামলার বিচার কাজ শুরু হয়। বর্তমানে ২ জন বাদে ওই মামলায় মুফতি হান্নানসহ ৬ জঙ্গি কারাগারে রয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করছেন, এপিপি অ্যাডভোকেট মাসুক আহমদ, আইনজীবী জসিম উদ্দিন আহমেদ ও ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী।