নবীগঞ্জে সাব-রেজিষ্টার অফিসের ভুমি দখল করে দেওয়াল ও গেইট নির্মানের পায়তারা
নবীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নবীগঞ্জ শহরের পুরাতন সাব-রেজিষ্টার অফিসের জায়গায় দেয়াল নির্মান করে দখলের চেষ্টা চলছে। সরকারী এ সম্পত্তি দখলের পায়তারার বিষয়টি নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।সুত্রে জানাযায়,নবীগঞ্জ শহরের হাসপাতাল সড়কে প্রায় ১৪ শতক ভুমি সরকারী কাজের স্বার্থে সাব রেজিষ্টার অফিস নির্মানের জন্য দানপত্র মুলে বিগত ১৯২১ সালে দান করেন নবীগঞ্জ উপজেলা কুর্শি ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের জমিদার পরিবারের কৈলাশ চন্দ্র রায় ও তার পরিবারের লোকজন। দলিল মুলে দানের সময় শর্ত থাকে যে ভবিষ্যতে যদি এ অফিস অন্য কোথাও স্থানান্তরিত হয় তাহলে দাতা পরিবারের লোকজন তা ফেরত পাবেন। শর্ত মোতাবেক বিগত প্রায় ৩ বছর পুর্বে নবীগঞ্জ সাব রেজিষ্টার অফিসটি স্থানান্তরিত হয়ে উপজেলা সংলগ্ন গন্ধা এলাকায় নিজস্ব ভুমিতে চলে যায়। এতে করে এ অফিস ও ভুমিটুকু খালি পড়ে থাকলে দাতা সদস্যদের উত্তরসুরীরা তা ফেরত চেয়ে আবেদন করেন। ফেরতের আবেদন চলমান থাকাকালীন সময়েই নবীগঞ্জ সাব রেজিষ্টার ঐ ভুমিতে তার বাসভন নির্মানের জন্য উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের বরাবর আবেদন করেন । সাবেক সাবরেজিষ্টার অফিস থাকাকালীন সময়ে পাশের খালি জায়গায় অস্থায়ী ভাবে একটি সাব-রেজিষ্টার মসজিদ নির্মান করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মসজিদ কমিটি চলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে পুরো জায়গা তাদের দখলে নেওয়ার পায়তারা করে চারদিকে দেয়াল ও গেইট নির্মান করার জন্য নবীগঞ্জ পৌরসভায় বরাদ্দ চায়। বিষয়টি সাব রেজিষ্টার কর্তৃপক্ষ জানতে পেরে তৎকালীন সাব-রেজিষ্টার রেজাউল করিম ঐ জায়গায় তার বাসভবন নির্মানের বিষয়টি উল্লেখ করে সেখানে বরাদ্দ না দেওয়ার জন্য পৌরসভার মেয়র বরাবর আবেদন করেন এবং ঐ জায়গায় কোনরুপ দেয়াল বা আস্তানা নির্মান না করার জন্য নবীগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডায়েরী এন্টি করেন। নবীগঞ্জ উপজেলা সাব-রেজিষ্টারের বাসভবনের আবেদনটি প্রক্রিয়াধীন থাকা সত্ত্বেও গতকাল মঙ্গলবার মসজিদ কমিটির লোকজন রাতের আধারে ঐ ভুমির চারদিকে দেওয়াল ও গেইট নির্মান করার কাজ শুরু করে। সাধারন মানুষের ধারনা সাব-রেজিষ্টার অফিসের লোকজনের যোগসাজশে সেখানে দেওয়াল ও গেইট নির্মানের কাজ শুরু করা হয়েছে। এ নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।সাধারন মানুষের দাবী সরকারী এ সম্পত্তি এভাবে দখলে পায়তারার বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।