‘জোট ভাঙবে না, আরো সম্প্রসারিত হবে’
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট ভাঙবে না, বরং আরো বেশি সম্প্রসারিত হবে, শক্তিশালী হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহাবুব হোসেন।
শনিবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত ‘ভারতের সঙ্গে নতুন চুক্তি: প্রত্যাশা ও বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘আমরা ২০ দল করি। আমরা কীভাবে করব, না করব, কোন দল আমাদের সঙ্গে থাকবে কী থাকবে না, এর মাথা ব্যথা বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের দরকার নাই। তাদের এত মাথা ব্যথা কেনো? কে থাকবে কী থাকবে না এটা ২০ দলীয় নেতাদের দায়িত্ব, এটা তারা দেখবে। ২০-দলীয় জোট নেত্রী খালেদা জিয়া এসব কুচক্রীদের ষড়যন্ত্রে কান দেবেন না। ২০-দলীয় জোট ভাঙবে না। আরও সম্প্রসারিত হবে। ২০ দল ইসলামি মূল্যবোধে বিশ্বাস করি, জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করি।’
বিএনপি ভারতবিরোধী- মন্ত্রী-এমপিদের এমন বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে দলটির এ নেতা বলেন, সব সময় বলা হতো বিএনপি ভারতবিরোধী। বিএনপি ভারত বিরোধী না। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ন্যক্কারজনক নির্বাচনে তৎকালীন কংগ্রেস সরকার যেভাবে বিশেষ করে বর্তমান দলীয় সরকারকে সাহস দিয়েছিল, মদদ দিয়েছিল, জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল; সেই কারণেই বাংলাদেশের জনগণ তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে ছিল। তাই আমরা কংগ্রেসের বিরোধিতা করেছি, ভারতের জনগণের নয়।
সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, ‘আমরা আশা করি, নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় এসেছেন, বিজেপি ক্ষমতায় আছে। বাংলাদেশ ভূ-রাজনীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দেশ। ভারত পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ। আমরা আশা করব, বাংলাদেশে যেন গণতন্ত্র থাকে, গণতন্ত্র বাস্তবায়ন হয় সে ব্যাপারে ভূমিকা রাখবেন। এর ব্যত্যয় হলে স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশের জনগণ নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে যাবে। কিন্তু ভারতের জনগণের বিরুদ্ধে যাবে না। কারণ ভারতের জনগণ আমাদের বন্ধু।
বাংলাদেশ-ভারতের ২২টি চুক্তির প্রসঙ্গ তিনি বলেন, চুক্তিগুলোর বিষয়বস্তু কী সে বিষয়ে আমরা এখন অবগত হতে পারিনি। তাই সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি- অবিলম্বে চুক্তিগুলো সংসদে পেশ করুন এবং এ বিষয়ে আলোচনা করে জনগণকে অবহিত করুন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বলেন, মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দরসহ সবকিছুই আমরা ভারতকে দিয়ে দিয়েছি। আর বিনিময়ে আমরা শুধু পেয়েছি ছিটমহল। তাই ভারত সরকারের কাছে আমাদের আশা, তারা তিস্তা চুক্তি সম্পন্ন করে বন্ধুত্বের সম্পর্ক সুদৃঢ় করবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মো. রহমতউল্লাহর সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীরপ্রতীক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।