কমলগঞ্জে স্কুল শিক্ষিকা ধর্ষণ : ধর্ষক গিয়াসের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ ॥ আটক আরও ২ জন
বিশ্বজিৎ রায়, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর-ডবলছড়া রাস্তায় গণ ধর্ষণের শিকার চা শ্রমিক সন্তান খাসিয়া পুঞ্জির স্কুল শিক্ষিকার মামলায় গ্রেফতার হওয়া প্রধান আসামী গিয়াসের কাছ থেকে পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য পেয়েছে। পুলিশ নতুন করে আরও দুই আসামীকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করেছে। গ্রেফতার হওয়া গিয়াসের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়।
কমলগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, ৩ জুন রাতে ধর্ষণের পূর্বে লুটে নেওয়া স্কুল শিক্ষিকার মুঠোফোন উদ্ধারে ১৮ জুন বৃহস্পতিবার পুলিশ মখলিছ নামের এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে। তার বাড়ি কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের বটতলা গ্রামে। ১৯ জুন শুক্রবার রাত আটটায় আবার সিরাজ মিয়া (২০) নামের আরও এক আসামীকে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মতিউর রহমান গ্রেফতার করেন। গ্রেফতার সিরাজের বাড়িও কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের বটতলা গ্রামে। শুক্রবার রাত ১০টায় উপ-পরিদর্শক মতিউর জানান, স্কুল শিক্ষিকার লুটে নেওয়া মুঠোফোন পেয়ে এই সূত্রে মখলিছকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর ঘটনার রাতেই নির্যাতিতা স্কুল শিক্ষিকা একজন ধর্ষণকারীর যে বর্ণনা দিয়েছিল সেই গ্রেফতার হওয়া সিরাজ মিয়া। সে সম্প্রতি মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে একজন নারী রোগীকে দেখতে গেলে নির্যাতিতা স্কুল শিক্ষিকা তাকে দেখে পুলিশকে ফোন করে জানালে শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কমলগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) বদরুল ইসলাম দুইজন গ্রেফতারের কথা নিশ্চিত করে বলেন, মখলিছকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার হওয়া গিয়াস উদ্দীনের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে। তবে এ আবদনের এখনও শুনানি হয়নি। গ্রেফতার হওয়া গিয়াসের কাছ থেকে গণ ধর্ষণ ঘটনায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে রাজি নন। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নির্ভরযোগ্য একটি জানায়, পরিকল্পনাক্রমেই শরীফপুর ইউনিয়ন থেকে লোক এনে একটি মাইক্রোবাস করে এসে ডাকাতি ও গণ ধর্ষণ করে আবার মাইক্রোবাস ব্যবহার করে তারা পালিয়ে যায়। পুলিশি নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র আরও জানায়, গ্রেফতার হওয়া গিয়াস ভাল মানুষ দাবী করে একটি মহল কিছুটা চাপ সৃষ্টি করছে। এ ঘটনায় চা শ্রমিকদের মাঝে ক্ষোভেরও সৃষ্টি হচ্ছে।