নবীগঞ্জের দেওতৈলে এক হিজরা খুন
উত্তম কুমার পার হিমেল, নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ) থেকেঃ
নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি কিবরিয়া সড়কের দেওতৈল আবাসিক এলাকার এম এ আরিছ মঞ্জিলে এক হিজরা খুন হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে। নিহতের নাম জিলু মিয়া ওরপে ঝিমলী (২০)। সে উপজেলার বড় ভাকৈর পশ্চিম ইউনিয়নের কামড়াখাইর গ্রামের আশিক মিয়ার সন্তান। তবে কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে এখনও সনাক্ত করা যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ অপর দুই হিজরাকে আটক করেছে। ধৃত হিজরাদের দাবী নিহত ঝিমলীর সঙ্গীয় এক যুবক তাকে রাতের আধারে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, উপজেলার দেওতৈল গ্রামের কউছর মিয়ার মালিকানাধীন এমএ আরিছ মঞ্জিলে দীর্ঘ দিন ধরে দু’টি কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিল জুয়েল মিয়া (জুই) ও হায়দর আলী (আখিঁ) নামের দুই হিজরা। নিহত হিজরা জিলু মিয়া ওরপে ঝিমলীর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল জুয়েল মিয়া ওরপে জুই নামের হিজরার সাথে। তবে ঝিমলী দীর্ঘ দিন ধরে ঢাকায় বসবাস করতো। এরই প্রেক্ষিতে হিজরা ঝিমলী গত শুক্রবার দিবাগত রাতে ঢাকা তেকে ফিরে এসে ঘনিষ্ট বন্ধু জুয়েল জুইয়ের বাসায় উঠে রাত প্রায় সাড়ে ১১ টায়। জুইয়ের দাবী ঝিমলীর সাথে সফর সঙ্গী আরেকটি যুবক ছিল। ওই যুবক ও ঝিমলীকে থাকার স্থান দেয় জুই। রাতের যে কোন এক সময়ে হত্যা করা হয় জিলু মিয়া ওরপে ঝিমলী (২০) কে। গতকাল শনিবার সকাল ৯ ঘটিকার সময় তার স্বয়ন কক্ষে গলায় ওড়না পেছানো ও মাটিতে পুতে পড়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পায় ওপর হিজরাও প্রতিবেশি লোকজন। এসময় ঘরের পেছনের দরজা খোলা ছিল। ঘরের ভিতরে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দিলে নবীগঞ্জ থানার এসআই আবুল খায়ের ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরন করেন। এলাকাবাসীর ধারনা অপর হিজরারাই পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ঝিমলীকে। কিন্তু জুই দাবী করে ওই রাতে নিহত ঝিমলী ও অজ্ঞাত যুবকের সাথে সে ছিলনা। সকালে সকল হিজরা ও স্থানীদের উপস্থিতিতে হিজরা আখিঁ দৌড়ে পালিয়ে যাওয়া চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে।
এ ব্যাপাওে নবীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল বাতেন খাঁন বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করেছি। তবে কে বা কারা হত্যা করেছে তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আটককৃত দুই হিজরাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
অপর দিকে স্থানীয়দের দাবী ঘটনাস্থল কউছর মিয়ার মালিকানাধীন এমএ আরিছ মঞ্জিল নামের কলোনিতে দীর্ঘ দিন ধরে নানা অসামাজিক কার্যকলাপ চলে আসছিল। হিজরা পতিতাসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের আশ্রয়স্থল হিসেবেই এমএ আরিছ মঞ্জিল পরিচালিত হয়ে আসছিল।