মৌলভীবাজারের হাতি নিয়ে ভারতে আইনী লড়াই
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ বাংলাদেশের দুটি হাতি নিয়ে ভারতের আদালতে চলছে আইনী লড়াই। ভারত ও বাংলাদেশের একাধিক ব্যাক্তি হাতি দুটির মালিকানা দাবি করায় বিষয়টি আদালতে উঠেছে। এমনকি ভারতের আসাম ও ত্রিপুরা মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত বিষয়টি অবগত এবং তারা বাংলাদেশী মালিকের কাছে হাতি দুটি ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
জানাগেছে, মৌলভী বাজারের কুলাউড়া থেকে গত কয়েক মাস আগে দুটি হাতি চুরি হয়। পরে হাতির মালিক মোখলেছুর রহমান আসামের হাইলাকান্দিতে তার হাতি দুটির সন্ধান পান। সেখানে গিয়ে তার হাতি সনাক্ত করার পর একাধিক ব্যাক্তি হাতির মালিকানা দাবি করেন।
এরপর বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তি থেকে শুরু করে বিধায়ক ও মন্ত্রীর কাছে যান মোখলেছ। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি মিমাংসার জন্য আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈর উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী গৌতম রায়ের চেষ্টাও ব্যর্থ হলে সেখানকার আদালতের শরণাপন্ন হন তিনি।
মঙ্গলবার আসামের হাইলাকান্দি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের বিচারক জয়দেব কোচ আগামী ২৩ জুন মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে হাতির মালিক কে, তা নির্দিষ্ট করে দিতে পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন বিচারক।
এদিকে আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈর উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী গৌতম রায় হাতির প্রকৃতি মালিক বাংলাদেশি মোখলেছুরের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি আইনী লড়াইয়ে মোখলেছকে সব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
মোখলেছুরের আইনজীবী উজ্জল কুমার দাস জানান, গত ১৬ জানুয়ারি হাতি দুটি ত্রিপুরার কৈলাশহরের সীমান্তবর্তী আখাউড়া থেকে হারিয়ে যায়। কাঁটাতার পেরিয়ে হাতি দুটি ভারতে প্রবেশ করে। ভারতে প্রবেশের স্বপক্ষে হাতির পায়ের চাপ সহ কাগজ পত্র আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করছি আদালত আমাদের পক্ষে রায় দিবে।
তিনি জানান, হাতি দুটি হারানোর পরপরই মোখলেচুর বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট থানায় জানান। পুলিশ বিষয়টি বিজিবিকে জানায়। গত ২২ জানুয়ারি বিজিবি সীমান্তে ফ্লাগ মিটিং করে বিএসএফকে বিষয় জানায়। এরপর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ত্রিপুরা মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়। এরপর এরপর বিষয়টি আসামের সংসদীয় সচিব মনিলাল গোয়ালার হস্তক্ষেপ চান ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। পরে মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা গৌতম রায়ের সাহয্য চাওয়া হয়। এর পরেই মালিকনা নির্ধারণে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়।