অপসংস্কৃতি রোধে ইসলামি সংস্কৃতির বিকল্প নেই
‘জাগরণ ইসলামী সাংস্কৃতিক দল’র হামদ-নাত মাহফিলে বক্তারা
‘প্রতিভা বিকাশের লক্ষে এসো সূরের আঙ্গীণায়’ শ্লোগানে প্রতিষ্ঠিত ইসলামী ধারার সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘জাগরণ ইসলামী সাংস্কৃতিক দল’র উদ্দ্যোগে গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেট দরগাহ গেইটস্থ শহীদ সুলেমান হলে আয়োজিত ‘ইসলামী সাংস্কৃতির গুরুত্ব শীর্ষক আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ হামদ-নাত’ মাহফিলে বক্তারা বলেন, ইসলাম একমাত্র পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। ইসলামে সংস্কৃতির চর্চাও রয়েছে। যখন বিজাতীয় সংস্কৃতির নামে চলছে অশ্লীলতার সয়লাব। আকাশ সংস্কৃতির নামে ভিনদেশী আগ্রাসন। বেহায়াপনা আর বেলেল্লাপনাকে চালানো হচ্ছে সংস্কৃতির আভায়।। তরুণ তরুণীকে বিপদগামী করার সকল পাঁয়তারা সম্পন্ন। সেই মুহুর্তে তাদের দাতভাঙ্গা জবাব দিতে ইসলামী সংস্কৃতির চর্চা ও বিকাশের বিকল্প নেই। প্রত্যেক জাতির রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি। নিজস্ব সংস্কৃতির লালন ও বিকাস প্রত্যেকের মজ্জাগত অভ্যাস। এর ব্যত্যয় হলেই চলে আসে অপসংস্কৃতি। আমরা যেহেতু মুসলমান তাই ইসলামি তাহযিব ও তামাদ্দুনই আমাদের সংস্কৃতি। আমাদের দেশপ্রেমের অভাব নেই। মুসলমানরা সর্বদা দেশ জাতি ও ইসলাম এবং ইমানকে আকড়ে ধরার চেষ্টা করে। অপসংস্কৃতি রোধে ইসলামি সংস্কৃতির বিকল্প নেই
জাগরণ ইসলামি সাংস্কৃতিক দলের প্রশংসা করে বক্তারা বলেন, ইতিমধ্যে বৃহত্তর সিলেটে সাংস্কৃতিক অঙ্গণে জাগরণ একটি সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছে। মাহফিল উদ্বোধন করেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শায়খুল হাদিস মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানপূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জাগরণের প্রধান উপদেষ্টা, জামেয়া দারুল কুরআন সিলেটের প্রিন্সিপাল সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী। টেলিকনফারেন্স-এ বক্তব্য পেশ করেন জাগরণের চেয়ারম্যন ইউরোপ প্রবাসী আলহাজ্ব মাওলানা জয়নাল আবেদিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, জাগরণের উপদেষ্টা মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী।
জাগরণের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আব্দুর রবের সভাপতিত্বে ও পরিচালক হাফিজ আব্দুল করিম দিলদার, সাহিত্য সম্পাদক হাফিজ শাহিদ হাতিমীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, আলহাজ্ব শামসুদ্দিন বানিগ্রামী, মাওলানা খলিলুর রহমান, প্রিন্সিপাল মাহমুদুল হাসান, মাওলানা জয়নুল আবেদীন, মাওলানা নজরুল ইসলাম, মাওলানা মুখতার হোসাইন, মাওলানা তৈয়্যিবুর রহমান চৌধরী, আলহাজ্ব যুবায়ের আল মাহমুদ, মাওলানা মুহাম্মদ আলী, আলহাজ্ব হাফিজ রইছ উদ্দীন, মাওলানা শরীফ খালেদ সাইফুল্লাহ, মাওলানা হাসান আহমদ, মাওলানা রুহুল আমীন নগরী, মাওলানা সালেহ আহমদ শাহবাগী।
কবি মিম সুফিয়ান ও বাহা উদ্দিন বাহারের সঞ্চালনায় সংগীত পরিবেশন করেন, আনিস আনসারী, ফয়েজ আহমদ শাহরুখ, কলরব শিল্পি গুষ্টি, জাগরণের শিল্পি আরিফ রাব্বানী, আমানুল্লাহ সহ সিলেটের স্থানীয় ইসলামি শিল্পিবৃন্দ।