শামীমাবাদে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ২
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সিলেটে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই ছাত্রলীগ কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
সোমবার রাত ১১ টার দিকে নগরীর ১০ নং ওয়ার্ডের শামিমাবাদ এলাকায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুরুজ আলী ও মহানগর ছাত্রলীগের সদস্য রানার অনুসারি গ্রুপের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধরা হলো-কদমতলী এলাকার মৃত আব্দুল খালিকের ছেলে ইমরান (২০) ও ঘাসিটুলা এলাকার আজিজুল হকের ছেলে নোমান (২১) গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ২জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তৃতীয় তলার ১১নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্ব বিরোধের জেরে ১০নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুরুজ আলী ও ওই এলাকার বাসিন্দা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এড.মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের ভাই হাজী আপ্তাব আলীর ছেলে রানার অনুসারিদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ চলাকালে সুরুজ আলী বাসা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রায় ৩ রাউন্ড গুলি ছোঁড়েন। এসময় ফটো তুলতে গেলে এক সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করে আলী হোসেনসহ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যাক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
স্থানীয় অপর একটি সূত্র জানায়- একটি ইজিবাইক চুরির ঘটনা নিয়ে সোমবার রাতে আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ আলীর শামীমাবাদস্থ বাসায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের বৈঠক চলছিল। এসময় সুরুজ আলী এক গ্রুপের পক্ষ নিলে বৈঠকে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে সুরুজ মিয়া প্রতিপক্ষের লোকজনকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছুঁড়েন। এতে ইমরান ও রুমান নামের ছাত্রলীগের দুইকর্মী গুলিবিদ্ধ হন। সুরুজ আলীর গুলিবর্ষনের ঘটনায় এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এলাকার মুরব্বী আফতাব মিয়ার নেতৃত্বে এলাকার লোকজন সুরুজ আলী ও তার লোকজনকে প্রতিহত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও তারা নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।
এদিকে,ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুরুজ আলী দাবি করেন, এক ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর করা হচ্ছিল। সে বাসায় এসে আশ্রয় নিলে আলী হোসেনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ কর্মীরা তার বাসা লক্ষ্য করে ৮/১০ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। তবে ওপর গ্রুপের কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ৮/১০ রাউন্ড রাবার বুলেটের গুলি ছুঁড়ে। তবে ঘটনাস্থল থেকে কাউকে আটক করা হয়নি।