টকশোতে আলোচকের হাতাহাতি (ভিডিও)

talk show fightসুরমা টাইমস ডেস্কঃ সোমবার দিবাগত রাতে ইটিভির টকশো ‘একুশের রাত’-এ মেজর জেনারেল আব্দুর রশিদ (অব.) এবং অধ্যাপক ড. শহীদুজ্জামান হাতাহাতি করেছেন। পরে তাঁরা সংবাদ মাধ্যমের কাছে যার যার অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন।
টকশোর ৫৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটিতে দেখা যায়, আব্দুর রশিদ স্ট্র্যাটিজিক ইন্টিলিজেন্স নিয়ে কথা বলার মধ্যে বার বারই অধ্যাপক শহীদুজ্জামানকে ব্যক্তিগত আক্রমনাত্মক বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তিনি স্ট্র্যাটিজিক ইন্টিলিজেন্স নিয়ে কথা না বলে উল্টো অধ্যাপক শহীদুজ্জামানের জ্ঞান, গবেষনা নিয়েই বেশি আলোচনা শুরু করেন, এক পর্যায়ে অধ্যাপক শহীদুজ্জামান তার কথার মাঝখানে তাকে নিয়ে কথা বলতে নিষেধ করেন, এরপর রশিদ উদ্ব্যত ভঙ্গিতে তাকে নিয়েই সমালোচনা অব্যহত রাখলে, তার দিকে আঙুল তুলে প্রশ্ন করতে শুরু করেন মো. শহীদুজ্জামান। বারবার তিনি ‘ইউ আর টকিং এবাউট মি?’ বলতে থাকেন।
এসময় আবদুর রশিদ অধ্যাপক শহীদুজ্জামানকে ব্যক্তিগত আক্রমন বন্ধ না করে উল্টো তাকে বলেন, ‘ডোন্ট শো ইওর ফিংগার’। তাতে শহীদুজ্জামান সাড়া না দিলে মেজর জেনারেল আব্দুর রশিদ (অব.) অধ্যাপক শহীদুজ্জামানকে শারীরিক ভাবে আঘাত করেন। তখন শহীদুজ্জামানও পাল্টা থাবড়া মারেন।
এর মধ্যে উপস্থাপককে দেখা যায় অনেকটা অসহায়ের মতো অনুষ্ঠান সঞ্চালনার চেষ্টা ছেড়ে দিয়ে সরাসরি সম্প্রচারের মধ্যেই প্রোডাকশনের লোকজনকে খুঁজতে থাকেন।
এই ঘটনা নিয়ে অবশ্য আবদুর রশিদ অধ্যাপক শহীদুজ্জামানকে নিয়ে ব্যাক্তিগত আক্রমনের বিষয়টি আড়াল করে বলেন, অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডে ভারতের আল-কায়েদার দায়ভার স্বীকার করে নেওয়া ছিল তাদের আলোচনার বিষয়।
“এসময় আমি স্ট্র্যাটেজিক ইন্টেলিজেন্স বিষয়ে বলছিলাম। উনি (শহীদুজ্জামান) বলছিলেন যে স্ট্র্যাটেজিক ইন্টেলিজেন্স বলে কিছুই নেই। এই বিষয়ে তর্কের মধ্যে উনি তার টেম্পারমেন্ট ধরে রাখতে পারেননি, তাই কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।”
“তবে সেখানে ব্যাপারটি মারামারির ছিল না, তর্কের ছিল। হাতাহাতি না হয়ে তর্ক হওয়া উচিত ছিল,” বলেন তিনি।
শহীদুজ্জামানের হাতে আঘাত করার বিষয়ে সাবেক সেনা কর্মকর্তা রশিদ বলেন, “এধরনের হিটেড সিচুয়েশন যখন তৈরি হয় তখন অনেক সময় কে কী আচরণ করছি, তা খেয়াল থাকে না।”
তবে টক শো’তে এধরনের আচরণ করা ঠিক না বলে স্বীকার করেন তিনি।
“টক শো’তে আমাদের দেখে তরুণরা অনেক কিছু শেখে। তাই টক শো’গুলোতে আমাদের এ ধরনের আচরণ করাটা ঠিক হয়নি।”
এ বিষয়ে অধ্যাপক শহীদুজ্জামান বলেন, “আমি যখন কথা বলছিলাম, তখন উনি (রশিদ) বারবার আমার কথার মাঝে কথা বলছিলেন। আমি আগে জানতাম না যে উনি আসবেন। আগে জানলে আমি কখনোই যেতাম না ওই টক শো’তে। এমন অভিজ্ঞতা আমার আগেও হয়েছে, আমি কথা বলতে গেলেই উনি আমাকে বাধা দেন।”
সোশ্যাল মিডিয়াতে সমালোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, “উনার সমালোচনাই বেশি হচ্ছে। যারা বলছে আমার কন্ডাক্ট ভুল ছিল, তারা যদি বলতেন আমার কী ভুল হয়েছে, সেটা যদি জানতে পারতাম তাহলে ভালো হত। আর আমাকে আমার পড়াশোনা, গবেষণা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়, এসব সোশ্যাল মিডিয়াতে কী বলা হচ্ছে, তার জন্য যথেষ্ট সময় আমার আসলে নেই।”

https://www.youtube.com/watch?v=V9xh6kb9MPI