চৌহাট্টায় মাইক্রো ড্রাইভারদের তান্ডব, পুলিশের উপর হামলা
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ নগরীর চৌহাট্টা মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক টিপুকে উল্টোপথে মাইক্রোবাস নিয়ে যেতে না দেয়ায় মাইক্রো ড্রাইভাররা নগরীতে হুলস্তুল কান্ড ঘটিয়েছে। হামলা চালিয়েছে পুলিশের এক সাব ইন্সপেক্টরের উপরেও। এমনকি এসময় ড্রাইভাররা সড়ক অবরোধ করে চৌহাট্টা থেকে জিন্দাবাজার, মিরবক্সটুলা এলাকায় বিশাল যানজটের সৃষ্টি করে। ড্রাইভারদের অরাজকতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ওই এসআইকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে পাঠাতে বাধ্য হন কোতোয়ালি থানার এসি সাজ্জাদুল হক। মঙ্গলবার বিকাল পৌণে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে সাব ইন্সপেক্টর অসিতের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম চৌহাট্টা পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করছিল। বিকাল পৌনে ৫টায় একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো গ-১৪-১০৫৪) উল্টোপথে চৌহাট্টা থেকে জিন্দাবাজার যাওয়ার সময় পুলিশ গাড়িটি থামায়।
এসময় মাইক্রোবাস থেকে এক ব্যক্তি নেমে নিজেকে টিপু বলে পরিচয় দিয়ে বলেন, তিনি চৌহাট্টা কার-মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক। তাকে এ পথে যেতে হবে।
এসময় পুলিশ তাকে উল্টোপথে যেতে দিতে রাজি না হওয়ায় তিনি পুলিশের সাথে বাদানুবাদে জড়িয়ে পুলিশের গায়ে হাত তুলেন। একপর্যায়ে পুলিশ তাকে ভ্যানে তুলে নেয়। ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় স্ট্যান্ডের চালকরা ঘটনাস্থলে এসে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এসময় টিপু গাড়ি থেকে নেমে বারংবার সাব ইন্সপেক্টর অসিতের উপর হামলা করতে উদ্যত হন।
ঘটনার সংবাদ পেয়ে কোতোয়ালি থানার এসি সাজ্জাদুল হাসান ও আওয়ামী লীগ নেতা কয়েস গাজী ঘটনাস্থলে আসেন। সাজ্জাদুল হাসান চৌহাট্টায় দায়িত্বরত পুলিশ টিমকে সেখান থেকে চলে যাওয়ার জন্য বলেন। কিন্তু স্ট্যান্ডের চালকরা পুলিশের গাড়ি আটক দিয়ে সড়ক অবরোধ করে এবং অসিতের দিকে তেড়ে যায়। পরে এই পুলিশ টিমকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে, এসি সাজ্জাদের এমন ঘোষণার পর চালকরা অবরোধ তুলে নেয়। এ বিষয়টি সন্ধ্যার পর উভয়পক্ষ মিলে মিটিয়ে ফেলার ঘোষণাও দেন এসি সাজ্জাদ।
চৌহাট্টা কার-মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডের সাধারণ সম্পাদক অলি মিয়া বলেন, এসি সাজ্জাদের আশ্বাসের ভিত্তিতে আমরা অবরোধ তুলে নিয়েছি। সন্ধ্যার পর বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসা হবে।
এ ব্যাপারে এসি সাজ্জাদুল হাসান বলেন, অপ্রীতিকর ঘটনার এড়াতে চৌহাট্টার ওই পুলিশ টিমকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) রহমত উল্লাহ গণমাধ্যমকে জানান, ব্যাপারটি আসলে দু:খ জনক। কেউ কোন অপরাধ করলে তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া উচিত কিন্তু এভাবে অরাজকতা সৃষ্টি করা দু:খ জনক।