জাবিতে ২৫ শিক্ষকের পদত্যাগের ঘোষণা
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ভবন বরাদ্দ সংক্রান্ত সিন্ডিকেটের এক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে একসাথে ২৫জন শিক্ষক পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। শনিবার অনুষ্ঠিত স্ব স্ব বিভাগীয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। অন্যদিকে একই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আমরণ অনশন পালন করছেন ওই দুই বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান ও কম্পিউটার বিজ্ঞান ভবনের ৩য় তলার পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগকে জায়গা বরাদ্দ দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান ও কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের ২৫ শিক্ষক পদত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে ভূতাত্ত্বিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক মাজেদা ইসলাম বলেন, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে জরুরি বিভাগীয় সভায় গণ পদত্যাগ এবং সব শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি শিক্ষার্থীদের অবস্থান ও অনশন কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন।
গণ পদত্যাগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘বিভাগের সব শিক্ষকই পদত্যাগ করার বিষয়ে একমত হয়েছেন। আজ আমরা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেব।’
কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পদত্যাগকারী শিক্ষকরা হলেন-সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ হানিফ আলী, বিভাগীয় সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন, অধ্যাপক ড. যুগল কৃষ্ণ দাস, অধ্যাপক মো. এমদাদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আকরাম হোসেন, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবির, সহযোগী অধ্যাপক ড. ইসরাত জাহান, সহযোগী অধ্যাপক লিটন জুড রোজারিও, সহযোগী অধ্যাপক মো. গোলাম মোয়াজ্জাম, সহযোগী অধ্যাপক আবু সাঈদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান, প্রভাষক সনজিৎ কুমার সাহা, স্বর্ণালী বসাক, তানজিলা রহমান ও তাহমিনা হাশেম।
ভূতাত্ত্বিক বিভাগের পদত্যাগকারী শিক্ষকরা হলেন, অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন, অধ্যাপক ড. এ টি এম শাখাওয়াত হোসেন, অধ্যাপক ড. মো. জুল্লে জালালুর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. শরীফ হোসেন খান, সহযোগী অধ্যাপক মো. মাহফুজুল হক, সহযোগী অধ্যাপক মো. এমদাদুল হক, সহকারী অধ্যাপক মাজেদা ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক মো. হাসান ইমাম, প্রভাষক মো. সাখাওয়াত হোসেন ও মাহমুদা খাতুন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আমি এখনো পদত্যাগপত্র হাতে পাইনি।