নবীগঞ্জে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীর বাল্য বিবাহ ভন্ডুল
উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ থেকে ॥
নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউন্দা ইউনিয়নের পানিউন্দা সরকারী প্রাইমারী স্কুলের ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রীর বাল্য বিবাহ ভন্ডুল করে দিয়েছেন নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের নেতৃত্বে একদল পুলিশ। এ সময় ভ্রাম্যমান আদালত ও নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশানার (ভুমি) আনোয়ার হোসেন বর ও কাজীকে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং কনের পিতা-মাতাকে মুচলেখা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানাযায়, উপজেলার ১৩ নং পানিউন্দা ইউপির পানিউন্দা গ্রামের ও স্থানীয় সরকারী প্রাইমারী স্কুলের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী চুনু মিয়ার শিশু কন্যা রুবি বেগমকে বিয়ে দেয়ার জন্য গতকাল বুধবার বিকালে দিন তারীখ ধার্য্য করেন। লাল বেনারশি শাড়ী পড়ে অবুঝ শিশু মেয়েটি কনে সেজে এবং সেরোয়ারী-পাগড়ী পড়ে মৌলভীবাজারের সদরের খলিলপুর গ্রামের মছর মিয়ার বিবাহিত ছেলে মিলাদ মিয়া বর সেজে কনে বাড়িতে উপস্থিত হয়। সাথে বর যাত্রীর একটি বহর। বাড়িতে সাজ সাজ রব। বিয়ে পড়ানোর জন্য স্থানীয় কাজী হাজির। সকল আয়োজন সম্পন্ন। এই মুহুর্তে খবর পেয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক আনোয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ অনুষ্টানস্থলে হাজির হয়ে বর ও বিয়ের কাজীকে আটক করেন। পরে তাদের কে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা আদায় করেন এবং বর কনের অভিভাবকদের লিখিত মুচলেখা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আরিফ উল্লাহ, পানিউমদা ইউপির চেয়ারম্যান ইজাজুর রহমান, পানিউমদা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক, সমাজসেবক অনু আহমদ প্রমূখ। স্থানীয় লোকজন জানান, ৫ম শ্রেণীতে পড়–য়া ওই শিশু মেয়েটির বিয়ে দেয়ার কথা শুনে এলাকাবাসী তার পিতা-মাতাকে বারণ করলেও তারা তা আমলে নেয়নি। মেয়েটির পিতা-মাতা দারিদ্রতার অজুহাত দেখিয়ে ওই বিবাহিত ছেলের সাথে গত বুধবার বিকালে গোপনে বিবাহের আয়োজন করে।