যাত্রাবাড়ীতে দুই তরুণীকে গণধর্ষণ!
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সালমা আক্তার (ছদ্মনাম) ও সালমা বেগম (ছদ্মনাম) দুজনই বান্ধবী। তারা রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার বৈদ্যুতিক সুইচ উৎপাদনের একটি কারখানায় একইসঙ্গে কাজ করে। ২৭ এপ্রিল সালমা আক্তারের মা গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যান। সেই সুবাদে সালমা আক্তার সালমা বেগমের বাসায় রাতে ঘুমাতে যায়। ওই রাতেই তারা দুজন গণধর্ষণের শিকার হন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পরিবারের দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের দুজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। যাত্রাবাড়ী থানার এসআই আব্দুল্লাহ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এসআই আব্দুল্লাহ জানান, সালমা আক্তার (১৪) ও সালমা বেগম (১৪) একই কারখানায় কাজ করে। তাদের নামও একই। ২৭ এপ্রিল সালমা আক্তারের মা গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যান। ওই দিন রাতে সালমা বেগমের কাজলার বাসায় ঘুমাতে আসে সালমা আক্তার। সন্ধ্যার দিকে সালমা বেগমের মামাতো ভাই বেল্লাল ফলের জুস নিয়ে তার বাসায় আসে। গল্প করতে করতে তাদের দুজনকেই জুস খাইয়ে দেয় বেল্লাল।
অভিযোগপত্রের বরাত দিয়ে এসআই আরো জানান, জুস খাওয়ার পর তারা দুজনই অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর বেল্লাল আরো তিন যুবককে ওই বাসার ভেতরে প্রবেশ করান। তারা পালাক্রমে দুই তরুণীকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি সকালে জানাজানি হয়ে যায়। প্রথমে ধর্ষণের বিষয়টি লুকানোর চেষ্টা করে দুই তরুণীর পরিবার। তবে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ায় বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এরপর সালমা আক্তারের বাবা ঘটনার তিনদিন পর ৩০ এপ্রিল যাত্রাবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই দুই তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে নিয়ে আসেন। বর্তমানে তারা সেখানেই রয়েছেন।
মামলা দায়েরের বিলম্বের কারণ সম্পর্কে সালমা আক্তারের বাবা আব্দুর রউফ গণমাধ্যমকে জানান, ঘটনার সময় তার স্ত্রী দেশের বাড়িতে থাকায় পুরো ঘটনাটি মেয়ে তাকে জানায়নি। এ ছাড়াও নির্বাচনের কারণে পুলিশ সময় দিতে পারেনি। তাই মামলা দায়েরে বিলম্ব হয়েছে।
বেলালের সঙ্গে দুই তরুনীর কারো প্রেমের সম্পর্ক ছিল কি-না জানতে চাইলে আব্দুর রউফ জানান, না এ ধরনের সম্পর্কের কথা তিনি বলতে পারেন না। এ ছাড়া বেলালকে তিনি চিনতেনও না।