৪২ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ছাড়া বাকি ৪২ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৮ লাখ ৭৪ হাজার ৫৮টি। এর এক অষ্টমাংশ হচ্ছে ১ লাখ ৯ হাজার ২৫৭টি ভোট। মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে তাবিথ আউয়াল ও আনিসুল হক ছাড়া কোন প্রার্থীই ২০ হাজারের বেশি ভোট পাননি। তাদের ভোটসংখ্যা মাহী বি. চৌধুরী (ঈগল) ১৩৪০৭, জোনায়েদ সাকি (টেলিস্কোপ) ৭৩৭০, ক্বাফী (হাতি) ২৪৭৫, বাহাউদ্দিন আহমেদ বাবুল (চরকা) ২৯৫০, নাদের চৌধুরী (ময়ূর) ১৪১২, এ ওয়াই এম কামরুল ইসলাম (ক্রিকেট ব্যাট) ১২১৬, কাজী মো. শহীদুল্লাহ (ইলিশ) ২৯৬৮, শেখ মো. ফজলে বারী মাসউদ (কমলালেবু) ১৮০৫০, শামছুল আলম চৌধুরী (চিতাবাঘ) ৯৮২, মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ (ফ্লাক্স) ১০৯৫, চৌধুরী ইরাদ আহম্মদ সিদ্দিকী (লাউ) ৯১৫, মো. আনিসুজ্জামান খোকন (ডিশ এন্টেনা) ৯০০, মো. জামান ভূঞা (টেবিল) ১১৪০ এবং শেখ শহিদুজ্জামান (দিয়াশলাই) ৯২৩ ভোট পেয়েছেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৯ লাখ ৫ হাজার ৪৮৪টি। এর এক অষ্টমাংশ হচ্ছে ১ লাখ ১৩ হাজার ১৮৫ ভোট। কিন্তু দক্ষিণে মেয়র পদে ২০ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে মির্জা আব্বাস ও সাঈদ খোকন ছাড়া কোন প্রার্থীই লাখের ঘর অতিক্রম করতে পারেননি। ফলে অবশিষ্ট ১৮ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। দক্ষিণে প্রার্থীদের ভোট সংখ্যা- ফ্লাস্ক প্রতীকে আব্দুর রহমান ১৪,৭৮৪ ভোট, সোফা প্রতীকে জাতীয় পার্টির সাইফুদ্দিন মিলন ৪৫১৯ ভোট, চরকা প্রতীকে আবু নাছের মোহাম্মদ মাসুদ হোসাইন ২,১৯৭ ভোট, টেবিল ঘড়ি প্রতীকে রেজাউল করিম চৌধুরী ২,১৭৩ ভোট, জাহাজ প্রতীকে শাহীন খান ২,০৭৪ ভোট, আংটি প্রতীকে গোলাম মাওলা রনি ১,৮৮৭ ভোট, বাস প্রতীকে শহীদুল ইসলাম ১,২৩৯ ভোট ও টেবিল প্রতীকে সিপিবি-বাসদের বজলুর রশীদ ফিরোজ ১,০২৯ ভোট পেয়েছেন। ল্যাপটপ প্রতীকে জাহিদুর রহমান ৯৮৮ ভোট, কমলালেবু প্রতীকে বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান রিপন ৯২৮ ভোট, ক্রিকেট ব্যাট প্রতীকে এএসএম আকরাম ৬৮২ ভোট, হাতি প্রতীকে দিলীপ ভদ্র ৬৬৯ ভোট, কেক প্রতীকে আব্দুল খালেক ৫৫০ ভোট, ময়ূর প্রতীকে শফিউল্লাহ চৌধুরী ৫১২ ভোট, চিতাবাঘ প্রতীকে মশিউর রহমান ৫০৮, লাউ প্রতীকে মো. আকতারুজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লাহ ৩৬২ ভোট, ঈগল প্রতীকে আয়ুব হোসেন ৩৫৪ ভোট এবং শার্ট প্রতীকে বাহরানে সুলতান বাহার ৩১৩ ভোট পেয়েছেন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৮ লাখ ৬৮ হাজার ৬৬৩টি। এর এক অষ্টমাংশ হচ্ছে ১ লাখ ৮ হাজার ৫৮৩ ভোট। কিন্তু এ নির্বাচনে আ. জ. ম নাছির উদ্দিন ও মোহাম্মদ মনজুর আলম ছাড়া বাকি ১০ প্রার্থীর কোন প্রার্থী প্রদত্ত ভোটের এক অষ্টমাংশ ভোট পাননি। চট্টগ্রামে আ. জ. ম নাসির এবং মনজুরের বাইরে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে চরকা প্রতীকে ইসলামী ফ্রন্টের এমএ মতিন ১১,৬৫৫ ভোট, টেবিল ঘড়ি প্রতীকে ওয়ায়েজ হোসেন ভূঁইয়া ৯,৬৬৮ ভোট, ডিশ অ্যান্টেনা প্রতীকে জাতীয় পার্টি সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী সোলায়মান আলম শেঠ ৬,১৩১ ভোট, ময়ূর প্রতীকে ইসলামিক ফ্রন্টের হোসাইন মোহাম্মদ মুজিবুল হক শুক্কুর ৪,২১৫ ভোট, ফ্লাক্স প্রতীকে সাইফুদ্দিন আহমেদ রবি ২,৬৬১ ভোট এবং টেলিস্কোপ প্রতীকে গাজী মো. আলাউদ্দিন ২,১৪৯ ভোট পেয়েছেন। বাস প্রতীকে বিএনএফের ?আরিফ মঈনুদ্দিন ১,৭৭৪ ভোট, দিয়াশলাই প্রতীকে আবুল কালাম আজাদ ১,৩৮৫ ভোট, ক্রিকেট ব্যাট প্রতীকে সৈয়দ সাজ্জাদ জোহা ৮৪৫ এবং মাছ প্রতীকে শফিউল আলম ইলিশ ৬৮০ ভোট পেয়েছেন। নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী, কোন সিটি করপোরেশনে ভোটার সংখ্যা ২০ লাখের কম হলে মেয়র প্রার্থীদের ৫০ হাজার টাকা এবং ২০ লাখের বেশি ভোটার হলে ১ লাখ টাকা জামানত দিতে হয়। এক্ষেত্রে উত্তরের ১৪ প্রার্থীকে ১ লাখ টাকা করে বাজেয়াপ্ত হবে। এছাড়া চসিক ও ঢাকা দক্ষিণের ২৮ প্রার্থীদের ৫০ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত হবে।