ধর্মপাশায় বাঁধ ভেঙে ১২০হেক্টর জমির পাকা ধান পানিতে
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের চন্দ্র সেনার থাল হাওরের শয়তানখালী ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে গতকাল রোববার সকালে হাওরে পানি ঢুকে ১২০হেক্টর বোরো জমির পাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। পাউবোর কর্মকর্তাদের ও সংশ্লিষ্ট পিআইসি কমিটির লোকজনদের গাফিলতির কারণে এ ফসলডুবির ঘটনা ঘটেছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা অভিযোগ জানিয়েছেন।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের মারাদারিয়া, শয়তান খালী, শেরখাল, আলদীর দাইড় ও ফেরারখেউ ও কাইলানী হাওরে ৩০০হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়। ওই জমিগুলো ধর্মপাশা উপজেলার সীমান্তে অবস্থিত হলেও এই জমিতে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার কৃষকেরা ধান আবাদ করে থাকেন। গতকাল রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শয়তানখালী ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে ওই ছয়টি হাওরের ১২০হেক্টর জমির পাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।
মোহনগঞ্জ উপজেলার গাগলাজুর ইউনিয়নের মান্দারবাড়ী গ্রামের কৃষক সুলতান মিয়া (৪০) বলেন,এই বান্দে সরহারি টেহায় কুনু কাম অইছেনা। নিজেরা মিইল্যা এই বান্দে কিছু মাডি ফালাইছি। আর পাউবোর লোকজন ও চেয়ারম্যান এই বরাদ্দ লুটপাট কইরা খাইছে। হেরার লাইগা আমরার সব তছনছ অইয়া গেছে। হেরার কী কুনু বিছার অইতোনা ?
সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) মো.মোকাররম হোসেন বলেন, সরকারি নিয়ম মোতাবেক বাঁধে কাজ করা হয়েছে। কিছু সংখ্যক দূর্বৃত্ত মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে এ বাঁধের কিছ’ অংশ কেটে ফেলেছে। এতে প্রভাবশালীরা সম্পৃক্ত থাকায় এ নিয়ে মামলা করলেও রহস্যজনক কারণে শেষ পর্যন্ত কোনো সুফল পাওয়া যায় না।
ইউএনও সাইফুল ইসলাম বলেন,বাঁধ ভেঙ্গে ফসলডুবির ঘটনার বিষয়টি আমি শুনেছি। এ উপজেলায় বেশ কিছু ফসল রক্ষা বাঁধ এখনো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধগুলো ভেঙে যাতে ফসলডুবির ঘটনা না ঘটে সে জন্য সর্বরকম চেষ্ঠা চালিয়ে আসছি ।