জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় ডাক পেলেন সিলেটের উদয়ীমান ১৭ শিল্পী
রবীন্দ্র সুরের ঝর্ণাধারা ঢেউ খেলে গেলো সিলেটের বৈশাখের সন্ধ্যা…
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ বৈশাখের সন্ধ্যায় সুরের ঝর্ণাধারা বয়ে গেলো সিলেটের কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে। রবীন্দ্র সঙ্গীতের বিমোহিত সুরে মন ছুঁয়ে যায় সকলের। এতে মিলে তৃপ্তি। আর গানে গানে উঠে আসে কাল বৈশাখের এক উন্মাতাল সময়। এ কারনে অনুষ্টান কেবল আনুষ্ঠানিকতায় সীমাবদ্ধতা থাকেনি- বরং সেটি হয়ে উঠেছিলো সংস্কৃতিকর্মীদের এক মিলনমেলায়। আর সেই অনুষ্টান থেকে জাতীয় পর্যায়ে রবীন্দ্র সঙ্গীত প্রতিযোগিতার টিকিট পেলে সিলেটের ১৭ জন প্রতিযোগি। তারা মাতাবেন ঢাকার আসর।
শনিবার সন্ধ্যায় অন্যন্য এ আয়োজনের আয়োজক ছিলো জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ সিলেট জেলা শাখা। তবে, সকাল থেকে শুরু হয়েছিলো প্রতিযোগিতা। ঢাকা থেকে আগত প্রখ্যাত রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী সুমা রায়, সেমন্তী মঞ্জরী ও কুমিল্লা থেকে আগত মিতা পাল ৩৭ জন প্রতিযোগি থেকে ছেঁকে ছেঁকে ১৭ জন প্রতিযোগীকে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত করেন। নির্বাচিতদের মধ্যে রয়েছে অনেক মেধাবী ও প্রতিভাবান শিল্পী।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, প্রতিযোগিতা শেষে কিশোর মান থেকে ৯ জন ও সাধারন মান থেকে ৮ জন প্রতিযোগিকে নির্বাচিত করা হয়। তারা কেন্দ্রীয় ভাবে প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। এদিকে, দিনভর প্রতিযোগিতা শেষে সন্ধ্যায় বসেছিলো সুরের আসর। রবীন্দ্রনাথের প্রাণকাড়া সুরের মুর্ছেনায় ঢেউ খেলে যায় গোটা অডিটোরিামে। এতে দুই বিভাগের দুই সেরা প্রতিযোগি ছাড়াও ঢাকা ও কুমিল্লা থেকে আগত শিল্পীরা গান পরিবেশন করে।
এছাড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্টানে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ সম্মেলক গান, নৃত্য শৈলীর পক্ষ থেকে সম্মেলক নৃত্য পরিবেশন করা হয়। এর আগে এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্টানে আগত অতিথি প্রখ্যাত রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী সুমা রায় ও সেমন্তী মঞ্জরীকে ক্রেষ্ট ও সম্মাণনা প্রদান করে আয়োজক কমিটির সিনিয়র সদস্য ও বিশিষ্ট সংস্কৃতিকর্মী সুপ্রীয় চক্রবর্তী রঞ্জু। এ সময় বক্তৃতাকালে সুপ্রীয় চক্রবর্তী রঞ্জু বলে রবীন্দ্র নাথ শুধু গানে নয় বাঙ্গালীর ধ্যানে-জ্ঞানে জড়িত। তিনি আশার প্রতীক, উজ্জীবনী শক্তি। তার সৃষ্টির মাঝে নতুনকে খুঁেজ পাওয়া যায়।
সিলেটের বিশিষ্ট রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী প্রথীক এন্দোর পরিচালনায় অনুষ্টানে বক্তব্য রাখেন এফআইবিডিবির পরিচালক জেহিন আহমদ, জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ সিলেট জেলা শাখার কোষাধ্যক্ষ আবুল ফজল, সংস্কৃতিকর্মী আমিরুল ইসলাম লিটন, বিভাষ শ্যাম পুরকায়স্থ ও বিশিষ্ট নৃত্য শিল্পী ণীলাঞ্জনা জুই। এছাড়া সিলেটের সাংবাদিক সহ বিভিন্ন মহলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।