মেধাবী ছাত্র আল আমীন হত্যাকান্ড মামলার বাদীকে ১৫ দিবসের মধ্যে তুলে নিয়ে লাশ গুম করার হুমকি
মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজারে মেধাবী ছাত্র আল আমীন হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামী ও তার সহযোগীরা মামলার বাদীকে প্রকাশ্য ১৫ দিবসের মধ্যে তুলে নিয়ে লাশ গুম করে নিহত আল-আমিন এর মত একই পরিনতি করার হুমকি দেয়ার অভিযোগ করলেন আলোচিত হত্যা মামলার বাদী লেচু মিয়া। অব্যাহত হুমকির ফলে চরম নিরাপত্তাহীনতা ও আতৎকিত পরিবার ও তার লোকজন। মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর দাখিলকৃত (নং- ১৪০৩ ভি, তারিখ: ১৯/০৪/২০১৫ইং ) অভিযোগ ও মামলার বাদী লেচু মিয়া সুত্রে জানা যায়- লেচু মিয়া আদালতে একটি বিচারাধীন মামলার হাজিরা দিতে গত ১৬ এপ্রিল মৌলভীবাজার কোর্ট এলাকার জেলা খাদ্য অফিসের পৃর্ব পার্শ্বের একটি পান দোকনের সামনে দাড়িয়ে থাকা অবস্থায় ভাদগাঁও গ্রামের মতিন মিয়া অশ্রিল ভাষায় গালি দিয়ে বলেন- শাহ আলমকে পলিশ ধৃত করিয়াছে কেন। তুই ইন্দন দিয়া আমার ভাগিনাকে ধরাইয়াছ। সর্ব মামলা উটাইয়া নিবে কি না বল। বেশী কতা বলবে হাত-পা কাটিয়া ফেলিবো। কোর্টে আসিয়া আর মামলা-মোকদ্দমা চালাইতে পারিবেনা। তোকে উটাইয়া নিয়া বস্থায় ভরিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিব বলে হুমকি প্রদান করেন। একই ভাবে সেলিম আহমদ, ওয়াহিদ মিয়া, শাহ জাহান, রাহেল মিয়া, আজিজ মিযা, ছায়েম বেগ, জুনেদ মিয়া ও তাজুল মিয়া জন সম্মুখে হুমকি প্রদান করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। উল্লেখ্য- রাজনগর থানাধীন ৭নং কামারচাক ইউপির মিঠিপুর গ্রামের মৃত আজাদ মিয়ার পুত্র মৌলভীবাজার টাউন কামিল মাদ্রাসার আলিম ২য় বর্ষের মেধাবী ছাত্র আল-আমিন কে গত ২০১৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর মনু বাধেঁর কাছে তারই আপন ফুফুতো ভাই, ফুফা সহ আরও ৬/৭ জন মিলে রামদা,রুল,লাঠি ও রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার উদ্দ্যেশ্যে মনু নদীতে ফেলে যায় । পরবর্তীতে আল-আমিনকে নদীতে রক্তাক্ত অবস্থায় ভাসতে দেখে একই এলাকার আরজু নামে এক ব্যক্তি আল-আমিনের চাচা লেচু মিয়াকে সংবাদটি দেন । সংবাদ পেয়ে লেচু মিয়াসহ পরিবারের অন্যান্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ও পরে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে ২০ সেপ্টেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৪.১০ মিনিটে তার মৃত্যু হয় । এ ঘটনায় ঐ দিনই নিহতের চাচা লেচু মিয়া বাদী হয়ে মিঠিপুর গ্রামের শাহজান মিয়ার পুত্র আল আমিনের সাবেক সহপাঠি ছায়েদ মিয়া (২৪), ফিরোজ মিয়ার পুত্র শাহ আলম মিয়া (৩০), আল আমিনের ফুফা ছমছু মিয়া, ফুফাতো ভাই সিদ্দিক মিয়া (২২), মৃত ফিরোজ মিয়ার পুত্র আজিজ মিয়া (৪০), ওয়াহিদ মিয়া (৩০), ছাদু মিয়া (৪৮), শাহজান মিয়া (৪২)সহ অজ্ঞাত নামা ৫/৬ জনকে আসামী করে রাজনগর থানায় (মামলা নং- ২৩,তারিখÑ ২০/৯/২০১৩ ,ধারাÑ৩০২/১১৪/৩৪ দন্ড বিধি) হত্যামামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের ৭ দিন পর ৭নং আসামী শাহজান মিয়াকে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভৈরববাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। একই ভাবে গত ১৯ এপ্রিল হত্যা মামলার আসামী শাহ আলমকে জিআর ৮৪/২০১১ইং (রাজ) যাহা পরবর্তীতে দায়রা ২৪১/২০০২ইং মামলায় পলাতক আসামী হিসাবে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালদে সোর্পদ করে। সর্বশেষ প্রাপ্ত সংবাদে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা যায় মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার বরাবর লেচু মিয়ার দায়েরী অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজনগর থানাকে তদন্তপৃর্বক আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।