রাজনগরে বায়তুন নুর জামে মসজিদের উন্নয়ন কাজে বাঁধা প্রধানের অভিযোগ
মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার : রাজনগরে বায়তুন নুর জামে মসজিদের উন্নয়ন কাজে বাঁধা প্রধানের অভিযোগ করলেন ঐ মসজিদ মোতায়াল্লি সাবেক চেয়াম্যান হাজী আব্দুল মছব্বির। জানা যায়- সাবেক চেয়াম্যান হাজী আব্দুল মছব্বির ও তার পুত্র শিল্পপতি জিল্লুর রহমান‘র একান্ত সহযোগীতায় মসজিদটি ৫তলা ফাউন্ডেশন করে একটি ভবন নির্মান করে বায়তুন নুর জামে মসজিদ ( কালাইকোনা চৌমুহনী) প্রতিষ্টিত করে নিয়মিত নামাজ আদায়সহ মসজিদের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রেখেছেন। ইতিমধ্যে মসজিদের পরিধি বাড়ানো এবং এলাকার জনসাধারন যেন তার সুফল ভোগ করেন তার জন্য প্রতিষ্টিত উন্নতমানের একটি মাদ্রাসা, হাফিজীয়া মাদ্রাসা, মহিলা মাদ্রাসা ও ঈদগাহ নির্মান কাজের পরিকল্পনা রয়েছে। মসজিদের উন্নয়ন অব্যাহত থাকায় একটি মহলের প্রত্যক্ষ ইন্দনে একই এলাকার মৃতঃ ফজলুর রহমান‘র পুত্র ছাদেক মিয়া মোঃ শফিউর রহমান, তৈমুছ উল্লার পুত্র মোঃ ছায়াদ মিয়া ও সুনজর মামন‘র পুত্র মবশ্বির মিয়া গংরা মসজিদ উন্নয়নের কাজে বাঁধা সৃষ্টি করেন। উল্লেখ্য:-কালাইকোনা গ্রামের মৃতঃ মোহাম্মদ ইসমাইল‘র জীবদ্দশায় মসজিদ নির্মানের ইচ্ছা পোষন করায় রাজনগর উপজেলার কালাইকোনা মৌজাঃ জে.এল.নং-১২৮, খতিয়ান নং-১৩৭, দাগ নং- ৩৭৬, মোট ১২ শতক ভৃমি স্বেচ্ছায় ওয়াকফ করার সিদ্বান্ত নেন। তিনি ১৯৬০ইং ১৭ নভেম্বর মৃত্যুবরন করায় তার পরবর্তী ওয়ারিসানগন চলতি বছরের গত ২৯ মার্চ পুনরায় মৃতঃ মোহাম্মদ ইসমাইল‘র কন্যা সুবই বেগম, আমতরুন বেগম ও হারিছা বেগম‘র কন্যা রানী বেগম মৌলভীবাজার নোটারী পাবলিক এর মাধ্যমে একটি ওয়াকফ নামা দলিল সম্পাদন করে দেন। হাজী আব্দুল মছব্বির অভিযোগ করে বলেন- ছাদেক গংরা এলাকার চিহ্নিত অপরাধী, তাদের কারনে এলাকার লোকজন শান্তিতে বসবাস করতে পারছেনা। এখন মসজিদ নির্মান করেও আমিসহ মুসল্লিরা তাদের আতৎকে নিয়মিত নামাজ আদায় করতে পারছিনা। মসজিদের উন্নয়ন কাজ শুরু করলেই যে কোন কারন দেখিয়ে মসজিদের আঙ্গিনায় অস্ত্রে-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মুসল্লিদের ভয় দেখিয়ে আতৎক সৃষ্টি করে থাকে। এ ব্যাপারে ছাদেক গংদের বক্তব্য জানতে চাইলে একাধিক বার যোগাযোগ করে তাদের পাওয়া যায়নি।