‘কওমি মাদ্রাসা নয়, মালরাই বিপজ্জনক’
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ ‘কওমি মাদ্রাসা বিপজ্জনক’ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের এমন বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর সভাপতি খলীফায়ে মাদানী শায়েখ আব্দুল মোমিন, নির্বাহী সভাপতি মাওলানা মোস্তফা আজাদ, সিনিয়র সহসভাপতি আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী ও মহাসচিব মুফতী মুহাম্মদ ওয়াক্কাস বুধবার এক বিবৃতিতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত কর্তৃক কওমী মাদ্রাসাকে বিপজ্জনক অভিহিত করে সবাইকে এবিষয়ে সতর্ক থাকার আহবান জানানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, শতশত বছর যাবত কওমী মাদরাসাগুলি আদর্শ মানুষ তৈরীর পাশাপাশি শান্তি-সুখের সমাজ বিনির্মাণ এবং মানুষের ইহ ও পারলৌকিক জীবনকে চুড়ান্ত সফলতার পথে পরিচালনার জন্য নিঃস্বার্থ পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এ দায়িত্ব পালনকালীন নানা সময়ে এই মিক্ষাব্যবস্থার বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা, প্রতিবন্ধকতা তৈরি অথবা বন্ধ করে দেয়ার নির্লজ্জ অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। কিন্তু মহান আল্লাহর অশেষ কৃপায় কোনো ষড়যন্ত্র অথবা প্রতিবন্ধকতা ইলমে নববী চর্চার এই ধারা স্তব্ধ করতে পারেনি।
দুঃখজনকভাবে বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হবার পর বিগত কয়েক বছর যাবত কওমী মাদারাসা শিক্ষার বিরুদ্ধে এমন জঘন্য সব অপপ্রচার করা হয়েছে, যা শতকরা নব্বইভাগ মুসলমানের দেশে কল্পনাও করা যায় না।
জমিয়ত নেতৃবৃন্দ বলেন, যেখানে সরকার প্রধান অহরহ বলছেন যে, তারা ইসলাম কিংবা ইসলামী শিক্ষার ক্ষতি করে এমন কিছু করবেন না। আবার সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী বিশেষতঃ অর্থমন্ত্রী কর্তৃক বারংবার ইসলামী শিক্ষার বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য আমাদেরকে শংকিত করছে যে, তারা একদিকে ধর্মপ্রাণ তৌহিদী জনতার সাথে ধোকাবাজি করছেন। অপরদিকে ইসলামবিদ্বেষী সা¤্রাজ্যবাদী গোষ্ঠিকে খুশী করার জন্য একই সাথে অবৈধভাবে দখলে রাখা ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার বাসনায় ক্রমাগত ইসলাম বিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন।
জমিয়ত নেতৃবৃন্দ সরকারকে সতর্ক করে বলেন, ইতোপূর্বে আপনারা নাস্তিক-মুরতাদ চক্রকে নির্লজ্জভাবে ইসলামের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছেন। অসংখ্য ইসলামপ্রেমী নিরীহ জনতার বুকের তাজা রক্তে রাজপথ রঞ্জিত করেছেন। মন্ত্রীসভার সদস্যসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ ইসলামের আকীদাবিশ্বাস ও ইবাদত বন্দেগী নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা সত্ত্বেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের পরিবর্তে তাদেরকে বরং আরো উৎসাহিত করা হয়েছে। কিন্তু ইসলামী শিক্ষার ব্যাপারে বিষোদগার অথবা বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা করবেন না। ইসলাম নিয়ে বিপজ্জনক খেলা বন্ধ না করলে ভবিষ্যতে আপনাদেরকে ভয়াবহ পরিণতির সম্মুখীন হতে হবে।