ছাতকে ভূল নাম্বারে ডায়াল করে বিকাশে গচ্ছা ১২ হাজার টাকা!
মিজানুর রহমান ফজলু, ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
ছাতকে প্রতারকের ফাঁদে পড়ে নগদ অর্থ প্রদান করে সর্বশান্ত হয়েছেন আনোয়ার হোসেন নামের গোবিন্দগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্টের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সে উপজেলার ছৈলা আফজলাবাদ ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের মৃত সুরুজ আলীর পুত্র। জানা যায়, আনোয়ার হোসেনের ছোট ভাই, সিএনজি চালক হাফেজ আক্তার হোসেন সিলেট শহরের বনকলাপাড়া এলাকার মৃত মখলিছুর রহমানের পুত্র লুৎফুর রহমানের সিএনজি অটো-রিকশা ১২হাজার টাকায় মাসোহারা হিসেবে ভাড়া আনে। ভাড়ার টাকা পরিশোধ করতে আনোয়ার হোসেন’র নাম্বার ০১৭২৫-৩৪৯৪৮৭ থেকে সিএনজি অটো-রিকশার মালিক লুৎফুর রহমানের মোবাইল ০১৭৯৯-৮৬০৮৫৬ নাম্বারে ফোন করতে গিয়ে ভুল বশত: ০১৭৯৯-৮৬০৮০৬ চলে যায়। এসময় ভাড়ার টাকা নেওয়ার জন্য বল্লে অপর প্রান্ত থেকে সিএনজির মালিক সেজে জনৈক প্রতারক ব্যক্তি আসতে পারবেনা বলে বিকাশের এজেন্ট নাম্বার ০১৭৮৪-১৮৭৬৭৬ দেয়। এ নাম্বারে ২২মার্চ স্থানীয় গোবিন্দগঞ্জ বাজারস্থ এক ব্যবসায়ীর দোকান থেকে নগদ ১২হাজার টাকা পাঠিয়ে দেয় আনোয়ার। পরবর্তীতে সিএনজির প্রকৃত মালিক ভাড়ার টাকার জন্য যোগাযোগ করলে বিকাশ নাম্বারে টাকা পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে জানানো হলে লুৎফুর রহমান কোন বিকাশ-টিকাশ নাম্বার দেন নাই বলে জানালে আনোয়ার হোসেন মোবাইল নাম্বার তল্লাশী করে দেখতে পান ভুল নাম্বারে ফোন দেয়াতে প্রতারকের ফাঁদে পড়ে মরেছেন। ঘটনার পর জনৈক প্রতারকের ০১৭৯৯-৮৬০৮০৬ নাম্বারটি বন্ধ রয়েছে। বিকাশ এজেন্ট নাম্বারে বার বার যোগাযোগ করা হলেও কোন প্রকার তথ্য দেয়নি। পরবর্তীতে ০১৭১৯-২১১৭৮৬ নাম্বার থেকে আনোয়ার’র নাম্বারে ফোন দিয়ে সিলেটস্থ তেমুখীতে যাওয়ার জন্য বলা হয়। এখানেও যাওয়া হলে সেই নাম্বারটিও বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন ভূল নাম্বারে ডায়াল করে প্রতারণার শিকার হয়েছেন।