মেজরটিলায় কবিরাজের ‘বাটি চালান’ : মৃত্যুর কোলে ব্যবসায়ী

nurrul islamসুরমা টাইমস ডেস্কঃ নগরীর মেজরটিলায় চুরির মিথ্যা অপবাদ সইতে না পেরে মৃত্যু হয়েছে নূরুল ইসলাম (৪৭) নামের এক ব্যবসায়ীর। তিনি দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কামালবাজারের মৃত আবদুল বারীর ছেলে, পেশায় ফার্ণিচার ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার শহরতলীর মেজরটিলাস্থ যুক্তরাজ্য প্রবাসী জমসেদ মিয়ার শ্রাবণী ১২ নম্বর বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বাসার তত্ত্বাবধায়ক সামাদ আহমদ গণমাধ্যমকে জানান- প্রায় একবছর ধরে স্ত্রী পরিচয়ে এক মহিলাকে নিয়ে ওই বাসার একটি ঘরে বসবাস করতেন নূরুল ইসলাম। বাসার আরেক ভাড়াটে ছালিক মিয়ার ঘর থেকে দুইদিন আগে কিছু টাকা চুরি হয়। চোর ধরতে মঙ্গলবার ছালিক মিয়া এক কবিরাজকে নিয়ে আসেন। কবিরাজ তার সহযোগীর মাধ্যমে ‘বাটি চালান’ দেন। সহযোগী ‘বাটি চালান’র মাধ্যমে ছালিক মিয়াকে চোর সনাক্ত করে তার গলা চেপে ধরে। একপর্যায়ে মাটিতে ফেলে তার বুকের ওপর ওঠে বসে। পরে কবিরাজ তার সহযোগীকে নিবৃত্ত করে নূরুল ইসলামকে চুরি যাওয়া টাকা ফেরত দিতে চাপ সৃষ্টি করেন। এর কিছুক্ষণ পরই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন নূরুল ইসলাম।
নিহত নূরুল ইসলামের ভাই কয়েস আহমদ গণমাধ্যমকে জানান- কামালবাজারে তার ভাইয়ের ফার্ণিচার ব্যবসা রয়েছে। তার এক ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে। কামালবাজারের গ্রামের বাড়িতে তার স্ত্রী পারভিন বেগম ও সন্তানদের নিয়ে থাকতেন। মেজরটিলায় তার কোন স্ত্রী আছে এটা পরিবারের কেউ জানেন না।
নূরুল ইসলামের স্ত্রী দাবিদার রুফিয়া বেগম গণমাধ্যমকে জানান- ‘আমার স্বামীকে চোর সাব্যস্ত করার পর তাকে ছাড়িয়ে নিতে আমি মাছিমপুরে এক আত্মীয়ের বাসায় টাকা আনতে যাই। বাসায় ফিরে দেখি নূরুল ইসলাম অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। হাসপাতাল আনার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শাহপরাণ থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন গণমাধ্যমকে জানান- প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে চুরির অপবাদ সইতে না পেরে হার্ট অ্যাটার্ক করে নূরুল ইসলাম মারা গেছেন। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছালিক মিয়া, তার স্ত্রী ও বোনকে থানায় আনা হয়েছে।