ছাতকে বিয়ের দাবী নিয়ে প্রেমিকের বাড়ীতে প্রেমিকার অনশন
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ ছাতকে বিয়ের দাবী নিয়ে প্রেমিকের বাড়ীতে অবস্থান করে অনশন পালন করছে এক প্রেমিকা। প্রেমিকের বাড়ীতে মঙ্গলবার দুপুর থেকে অনশন পালন করছে এ প্রেমিকা। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়নের মজুমদারীচর গ্রামের হাজী ধনাই মিয়ার বাড়ীতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দক্ষিন সুনামগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের মনবেগ গ্রামের তাজুল ইসলামের কন্যা ও জাউয়াবাজার ডিগ্রী কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী শাপলা বেগমের সাথে হাজী ধনাই মিয়ার পুত্র ও জাউয়া সানরাইজ কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক নোমান আহমদের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। তাদের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক বিয়েতে পরিণত করতে এক পর্যায়ে প্রেমিকা শাপলা বেগম প্রেমিক নোমানকে বারবার চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। প্রেমিকার বিয়ের প্রস্তাবে নানা অজুহাত দেখিয়ে কালক্ষেপন করতে থাকে প্রেমিক নোমান। এক পর্যায়ে নোমান প্রেমিকা শাপলার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে বিয়ের দাবী নিয়ে প্রেমিকের বাড়ীতে অবস্থান নেয় শাপলা বেগম।
একই সাথে খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে আমরন অনশনের ঘোষণা দিয়ে প্রেমিকের বাড়ীতেই অবস্থান নিয়েছে সে। এ ঘটনায় এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
এদিকে প্রেমিকের পরিবার শাপলাকে নিয়ে পড়েছে চরম বিপাকে। অনাহারে শাপলা বেগমের শারীরীক অবস্থার অবনতি ঘটছে বলে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়। বিষয়টি থানা পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জন-প্রতিনিধিরা সুরাহা করতে পারছেন না।
বুধবার সকালে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এমরান খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য চরমহল্লা ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়ীত্ব প্রদান করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা কদর মিয়া জানান, উভয় পরিবারের লোকজনের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্ঠা চলছে।
ছাতক থানার ওসি হারুন অর রশীদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিষয়টি সামাজিকভাবে নিষ্পত্তির লক্ষে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ গন্যমান্য ব্যক্তিরা দায়িত্ব নিয়েছেন। তবে বিষয়টির উপর আমরা সার্বক্ষনিক দৃষ্টি রাখছি।