হুমায়ুন হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে শেরপুরে মানববন্ধন
বালাগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের ছাত্র হুমায়ুন হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকবাসী। গতকাল সোমবার দুপুরে মৌলভীবাজারের শেরপুর গোলচত্তরে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে এ মানবন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তরা হুমায়ুনের হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে এবং সুবিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করা হয়। অবিলম্বে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার না করা হলে পরবর্তীতে এলাকবাসী কাঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হবে মানবন্ধন ঘোষনা করা হয়। নিহত হুমায়ুন মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ থেকে এবারের এইচ,এস,সি পরীক্ষার্থী ছিল।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, মনুমুখ ইউপি চেয়ারম্যান খালিছুর রহমান, সদস্য আব্দুল আহাদ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া আহমদ, সাধুহাটি গ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তি কনর মিয়া, মতিউর রহমান, লেবাছ মিয়া, আবুল বশর, খলিলপুর ইউপি সদস্য নাজমুল ইসলাম, আব্দুল আলী, আলী আহমদ, আজমান মিয়া, নিহতের হুমায়ুনের বড় ভাই মামুনুর রশিদ, সমাজসেবক গাজী আবেদ, আমিরুল ইসলাম শাহেদ, জামিল হোসেন, মশিউর রহমান নয়ন, জাকির হোসেন, কামরুল ইসলাম, মিলন, এমদাদুল ইসলাম, শাহিন পাশা, গৌছ উদ্দিন, জাহাঙ্গীর মিয়া, আজিজুর রহমান, অয়ন, নুরুল ইসলাম, মুজিবুর রহমান, রাজু, শাফিন, জুয়েল রানাসহ এলাকার সচেতন নাগরিকবৃন্দ।
প্রসঙ্গত গত ২২ ফেব্রুয়ারী সরকার বাজারের আল-মাহবুব কমিউনিটি সেন্টারে সাধুহাটি গ্রামের হুমায়ুনের চাচাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল সিলেটের ওসমানীনগর থানার ব্রাহ্মণগ্রাম গ্রামের কমরু মিয়ার সাথে। বিয়ের দিন বর পক্ষের দুই গ্রুপের মধ্যে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে কনের চাচাতো ভাই হুমায়ুনসহ আরো অনেকেই সংঘর্ষ থামাতে যান। এসময় বর পক্ষের কিছু অশৃংখল লোক ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। হামলার এক পর্যায়ে হুমায়ুনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় আঘাত করলে সে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু বরণ করে এবং এতে প্রায় আরো ১০ জন আহত হন। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মামুনুর রশিদ ওসমানীনগর থানার এওলাতৈল গ্রামের আলমগীর মিয়াকে প্রধান আসামী করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৮/২৪।