আন্তর্জাতিক নারী দিবসে মৌলভীবাজার এনডিএফ’র আলোচনা সভা
প্রতিক্রিয়াশীলদের নারীবাদীতার বিপরীতে নারী মুক্তির লক্ষ্যে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে
প্রতিক্রিয়াশীলদের নারীবাদীতার বিপরীতে নারী মুক্তির আন্দোলনকে সমাজ পরিবর্তনের আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত করার প্রত্যয়ে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এনডিএফ মৌলভীবাজার জেলা কমিটি আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করে। ৮ মার্চ সন্ধ্যায় সংগঠনের চৌমুহনাস্থ কার্যালয়ে নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন এনডিএএফ জেলা কমিটির অন্যতম নেতা কবি শহীদ সাগ্নিক। সভায় বক্তব্য রাখেন এনডিএফ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস, বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতি মৌলভীবাজার জেলা কমিটির আহবায়ক ডা. অবনী শর্ম্মা, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির দপ্তর সম্পাদক শাহিন মিয়া, হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন জেলা কমিটির সহ-সভাপতি আব্দুল আজিজ, রিকশা শ্রমিক সংঘের সভাপতি সোহেল আহমেদ, শ্রমজীবী নারীদের পক্ষে শহর বান, সেলিনা বেগম, হাওয়া বিবি, পিংকি বেগম, রোজিনা বেগম প্রমূখ। সভায় বক্তারা বলেন উৎপাদনের সকল ক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি নারী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও তাদের নেই অধিকার ও মর্যাদা। গার্মেন্টস, চা-বাগান, ফার্মাসিউটিক্যালস, নির্মাণ, হোটেল-রেস্টুরেন্ট ইত্যাদি শিল্প সেক্টরে নিয়োজিত নারী শ্রমিকসহ সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, হাসপাতাল, ব্যাংক, বীমা, অফিস-আদালতে পরিচ্ছন্নতা কর্মী, গৃহকর্মী, গ্রামের কৃষাণী তথা শ্রমজীবী নারীদেও হাড় ভাঙ্গা খাটুনি, রক্ত-ঘামঝরা পরিশ্রমে মুনাফার পাহাড় গড়ে দেশের অর্থনীতি চালু রাখলেও নির্মম শোষণের যাতাকলে পিষ্ট এ নারীরা পায় না সম ও ন্যায্য মজুরি। দেশের জনসংখার অর্ধেক নারীর জীবন-জীবিকার সমস্যার সাথে জড়িত। দেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, তথা সামগ্রিক সংকট তীব্রতর হওয়ার সাথে সাথে চলমান রাজনৈতিক সংঘাতময় পরিস্থিতিতে উৎপাদিত কৃষি পণ্য বিক্রি করতে না পেওে, শহরের শ্রমিক ও শ্রমজীবী জনগণের কাজের ক্ষেত্রে সংকুচিত হয়ে পড়ায় বেঁচে থাকাই দায় হয়ে পড়ছে। বাংলাদেশের নারী সমাজ তথা শ্রমিক-কৃষক-জনগণের সমস্যা-সংকট, শোষণ-লুন্ঠন, দুঃখ-কষ্ট, নিপীড়ন-নির্যাতনের কারণ হচ্ছে প্রচলিত নযা উপনিবেশিক আধা সামন্তবাদী আর্থসামাজিক ব্যবস্থা। এর জন্য দায়ী সাম্রাজ্যবাদ, সামন্তবাদ ও আমলা মুৎসুদ্দি পুঁজিকে উচ্ছেদ করা ছাড়া নারী মুক্তি অর্জিত হতে পাওে না। এই সত্যকে আড়াল ও অস্বীকার কওে সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালাল শাসক-শোষক গোষ্ঠি ও এনজিওরা নারী পুরুষের মধ্যকার বিভক্তি বৃদ্ধি করে চলছে। তাই প্রতিক্রিয়াশীলদের নারীবাদীতার বিপরীতে নারী মুক্তির আন্দোলনকে সমাজ পরিবর্তনের আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি