গোলাপগঞ্জে প্রবাসীর বাড়িতে অগ্নিকান্ডে ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি
গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে এক প্রবাসীর বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনের লেলিহান শিখা শুধু ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে ছাই করেনি, ওই প্রবাসীর পাসপোর্ট, টিকেট ও ছাই করেছে। অগ্নিকান্ডে প্রায় ত্রিশ লক্ষ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। গহকর্তার ধারণা বিদ্যুতের সট সার্কিট থেকে এ অগ্নি কান্ডের সূত্রপাত হয়েছে। সংবাদ পেয়ে ঘটনার স্থলে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন উপস্থিত হলেও তাদের আগমণের পূর্বেই আগুনে বাড়ি পুড়ে যায়। সাত রুমের পাকা দালান বাড়ির আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ায়। এখন ওই পরিবারের লোকজন অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১ নম্বর বাঘা ইউনিয়নের কালাকোনা বাঘাইয়া গ্রামের রইছ আলী বাড়িতে আগুন লাগলে সবকিছু জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। রইছ আলীর ছেলে আরব আমিরাত প্রবাসী ইউনুছ আলী (৪০) জানান সকাল অনুমান সাড়ে ১১টায় তার ড্রইং রুমে হঠাৎ আগুন দেখতে পান। মুহূর্তের মধ্যে আগুন গ্রাস করে ফেলে তাদের পুরো বাড়ি। সাত রুমের ওই পাকা বাড়ির প্রতিটি রুমে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে বাড়ির জিনিসপত্র। বাড়ির লোকজনের আর্ত চিৎকারে এলাকার লোকজন দ্রুত এগিয়ে এসে অনেক চেষ্টা করেও আগুন নিয়ন্ত্রেণে আনতে পারেননি। পাকা ঘরের সবগুলো রুমের ছাদ কাঠ ও বাশ দ্বারা নির্মিত হওয়ায় আগুন জ্বলতে থাকে। প্রায় ঘন্টা খানিক পর সংবাদ পেয়ে দক্ষিণ সুরমার আলমপুরের ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনার স্থলে উপস্থিত হন। তারা উপস্থিত হওয়ার পূর্বেই সবকিছু জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে কমপক্ষে ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে ইউনুছ আলী জানান।
সংবাদ পেয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি গোলাপগঞ্জ অঞ্চলের পরিচালক সাংবাদিক আব্দুল আহাদ ছাড়াও বাঘা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির আহমদ, গোলাপগঞ্জ মডেল থানার সাব ইন্সপেক্টর খন্দকার আতিকুর রহমান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হাজী আবুল কালাম, স্থানীয় ইউপি সদস্য কয়েছ আহমদ, সাংবাদিক আব্বাছ উদ্দিনসহ বাঘা ইউনিয়নের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ঘটনার স্থল পরির্দশন করেন।