সমস্যায় জর্জরিত কালাগুল কালী বাড়ি
সুমন দেঃ সিলেটে হিন্দু ধর্মালম্বিদের অতিজনপ্রিয় এবং শহরতলির চা-বাগান বেষ্টিত মন্দির কালাগুল সতির গ্রীবাপিঠ কালী বাড়ি। এখানে সতির গ্রীবাপিঠ থাকায়, সিলেট সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে এবং দেশ বিদেশের ভক্তবৃন্দ দর্শন ও পুজা-আর্চনার জন্য সেখানে আসেন। সম্প্রতি মন্দিরের সংস্কার কাজ করাতে ভিবিন্ন অনিয়ম ও মন্তিরের কাঠামোর বাইরে কাজ করানো হয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে।
সরজমিনে দেখাযায়, মন্দিরের পূর্বের প্রবেশ পথটি সম্পুর্ণ ভাবে গ্রিল, ইট গাথুনি দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মূল মন্দিরের প্রবেশ পথ পরিবর্তন হওয়ায় বিঘিœত হচ্ছে পূর্ণার্থীদের পুজা-আর্চনা ও মন্দিরে প্রবেশ-বাহিরে। বারান্দার চারপাশে গ্রিল এবং ইট গাঁথুনি দিয়ে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, যার জন্য ভক্তবৃন্দ মন্দির প্রদক্ষিনে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছেন ভক্তবৃন্দ। এই সংস্কার কাজে নিয়োজিত ছিলেন বড়জান বাগানে কর্মরত অমরেন্দ্র দেব এবং অন্যজন অজয় দাশ যিনি সিলেটে বসবাস করেন মন্দিরের পরিচালনায় আছেন বলে কারো জানা নেই! স্থানীয় লোক জনের অভিযোগ সংস্কার কাজের নামে অর্থ আত্মশাতের লক্ষ্যে এ ধরনের ভক্তবৃন্দদের দানকৃত টাকার অপচয় হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। অনেক দিনের পুরাতন মন্দিরের এখনো নির্ধারন হয়নি সিমানা প্রাচির! স্থানীয় ভক্তদের সাথে আলাপ করে জানাযায়, বর্তমানে মন্দির পরিচালনা কমিটি নতুনভাবে হওয়ার কথা থাকলেও কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছেনা বলে স্থানীয় লোকজন যুগভেরীকে জানান। আগামি ৩ এপ্রিল ২০১৫ সাল বাৎসরিক অনুষ্ঠিতব্য পুজায় সিলেট পুজা উদ্যাপন কমিটির হস্থক্ষেপ একান্ত ভাবে কাম্য বলে তাঁরা আকুতি জানান। বর্তমান কমিটির কয়েকজন নাম অপ্রকাশের শর্তে যুগভেরীকে জানান, এই বাৎসরিক উৎসবে বড়জান, কালাগুল, খাদিম নগর চা-বাগানের প্রায় ৫ হতে ৭ হাজার চাশ্রমিক সহ ভক্তবৃন্দের সমাগম হয়। তাঁরা আরো বলেন “মন্দিরে সেবাইত সাধু সন্তুষ মন্দিরের প্রথম দিক থেকে দেখভাল করে আসছেন। বিগত কয়েক বছর যাবত বাগান কিংবা মন্দির পরিচালনা কমিটি হতে কোন সম্মানি বা অনুদান দেয়া হয় না সাধুকে। সে কালাগুল হতে সিলেটে পায়ে হেটে সিলেট সহ বিভিন্ন অঞ্চলে ভক্তবৃন্দের কাছে থেকে ভিক্ষা করে মন্দিরের উন্নয়েনে ও বিশেষ পুজা পার্বনে স্বক্রিয় ভুমিকা রাখেন।”
এ বিষয়ে মোঠোফোনে কালাগুল বাগানে কর্মরত, টিলা বাবু সঞ্জয় আচার্য কে মন্দিরের অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা চলছে তাতে আপনার মন্তব্য কি জানতে চাইলে, তার কিছুই জানানেই বলে যুগভেরীকে জানান। অথচ সঞ্জয় আচার্য কালাগুল বাগানে টিলাবাবুর পদে দায়িত্ব প্রাপ্ত রয়েছেন সাথে করে চা কর্মকর্তা কর্মচারি সমিতির দায়িত্বপূর্ণ পদেও নির্বাচিত।
গত মঙ্গলবার মন্দিরের একজন ভক্ত এ.প্রবীর সিংহ সিলেট নিবাসী যুগভেরীকে বলেন, বাৎসরিক উৎসবের পূর্বেই সিলেট পুজা উদ্যাপন কমিটির সাথে আলাপ-আলোচনা করে সরকারী হস্থক্ষেপের জন্য আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। এতে অবশ্যই মিডিয়া এবং সাংবাদিক ভাইদের সহযোগিতা বিশেষ ভাবে কাম্য। এ ভাবে একটি সতির গ্রীবাপিঠ আমাদের পূন্য ভুমি সিলেটে অবস্থিত তা অবহেলিত রাখা অনুচিত। আমরা আশাবাদি সরকারী হস্থক্ষেপ আশু প্রয়োজন এবং সরকারি ভাবে মন্দির সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্টরা এগিয়ে আসবেন।