তাহিরপুরের সড়কগুলোর বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ চরমে
কামাল হোসেন,তাহিরপুর(সুনামগঞ্জ)
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ৭ ইউনিয়নের বেশিরভাগ সড়কেরই বেহাল দশা বিরাজ করছে। জানাযায়, গত বর্ষা মৌসুমের শেষের দিকে উজানের মেঘালয় পাহাড় থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের তোড়ে এ উপজেলার বেশিরভাগ কাঁচাপাক সড়ক, ব্রীজ ও খালর্ভাড ভেঙ্গে গিয়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া সহ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমন কি সড়ক গুলোর পিচ ঢালা উঠে গিয়ে সড়ক গুলোর মাঝখানে বড়বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে জনসাধারণে চলাচলের অনুপযেীগি হয়ে পড়েছে। স্বাধীনতা ৪৩ বছর পেরিয়ে গেলেও তাহিরপুর উপজেলা সদরের সঙ্গে সবকটি ইউনিয়নের পূর্নাঙ্গ সড়ক যোগাযোগ না থাকায় এবং গত বছরের বন্যায় বেশির ভাগ সড়কের এ বেহাল দশায় যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে জনসাধারকে।এর কারনে রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে জনসাধারনকে স্থানে স্থানে নামে বেনামে টোলটেক্সএর নামে চাঁদা গুন্তে হচ্ছে। সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, তাহিরপু-সুনামগঞ্জ সড়কের আনোরপুর রক্তি নদীর ব্রীজের র্পূব পাড়ের অনেকাংশ সড়ক ভেঙ্গে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে , মিয়ারচড়-বাদাঘাট দীঘিরপাড় নামক স্থানে ব্রীজর দু পাশের সড়ক ভেঙ্গে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিছে, বাদাঘাট-লাউড়েরগড় সড়কের বেশির ভাগ জায়গায় ঢালাই উঠে গিয়ে বড়বড় গর্তের সৃষ্টিসহ সড়কের দু পাশের অনেক স্থানে ভেঙ্গে জুলে আছে,এ সড়ক দিয়ে বাদাঘাট,মোল্লাপাড়া, ঘাগটিয়, লাউড়েরগড়, মোকশেদপুরসহ র্পামর্বতী উপজেলা বিশ্বম্ভরপুরওে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ প্রতিদিন চলাচলে সিমাহিন দূর্ভো পোহাতে হচ্ছে। মোদেরগাঁও- শাহ আরেফিন সড়কে কাইলকাপুর নামক স্থানে কালভাড ভেঙ্গে গিয়ে যোগাযোগ বিচিন্ন হয়ে গেছে। বাদাঘাট- সোহালা- আনোয়ারপুর সড়কের ইছবপুর নামক স্থানের ব্রীজটির ভেঙ্গে গিয়ে সড়কের প্রায় দক্ষিণে সওে গিয়ে ৮ হত নিচে ধেবে গেছে এবং সোহালা গ্রামের দক্ষিনে যাদুকাট নদীর বেড়িঁবাধ ভেঙ্গে প্রায় ৫০ গজের মত সড়ক ভেঙ্গে গিয়ে লোভার হাওরে এ নদীর নালা ঢুকে পড়েছে। গত মৌসুমের বন্যায় তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়কের বিভিন্ন অংশে পিচ ঢালাই উঠে গিয়ে বড়বড় গর্তসহ টাকোটুকিয়া ব্রীজের উত্তর পাশে রাস্তা ভাঙ্গন ও তিনটি ব্রীজসহ পাতারগাঁও নামক স্থানে র্পযন্ত ৬টি স্থানে ভেঙ্গে গিয়ে সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে গেলে ওই ব্রীজ গুলোর সাথে বাঁশের সাটাই দিয়ে সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করে। এর ফলে ওই রাস্ত দিয়ে জনসাধারণ সহ মোটর যান চলাচলে অতিরিক্ত ভাড় বহন করতে হছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাহিরপুর বাদাঘাটসড়কের সংযোগ রাস্তাটি নিচি থাকার কারণে র্বষাকালে ডুবে গিয়ে অনুপযোগি হয়ে পড়ে। এই সড়ক দিয়ে বাদাঘাট, উত্তর বড়দল, দক্ষিন বড়দল, উত্তর শ্রীপু ইউনিয়নসহ সীমান্তর্বর্তী বাগলী শুল্কষ্টেশন, বড়ছড়া শুল্কষ্টেশন ও চাঁরগাঁও শুল্কষ্টেশনের প্রায় লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের একমাত্র মাদ্যম হচ্ছে এই সড়ক। যারফলে এই সড়ক গুলো সংস্কারের অভাবে যাতায়াতে স্থানী জনসাধারণকে যেমন গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া ও টোট্রেক্স তেমনি পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি।এদিকে বাদাঘাট-বড়ছড়া, বাদাঘাট-কাউকান্দি-নতুন বাজার ও লাড়েরগড়-বড়ছড়া-বাগলী শুল্কষ্টেশনের রাস্তায় বালু ও নতুন মাটি ফেলায় ওই সড়ক গুলো চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে।জানাযায়, বিভিন্ন সময় ওই সড়ক গুলোতে মাটি ভরাট, পাকা করন ও ব্রীজ ণির্মান করলেও স্বাধীনতার ৪৪ বছর পেরিয়ে গেলেও কাজ শেষে হয়নি এখনো। স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্ত তাহিরপুর উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানাযায়, ১৯৯৩ সালে এলজিইডি তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়কটি ণির্মানের উদ্যোগ নেয়। পরর্বতীতে ২০১১ অর্থবছর পর্যন্ত সড়কের ১২ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করা হয়। বড়ছড়া গ্রামের মনির হোসেন(২৮) বলেন, তাহিরপুর বাদাঘাট সড়কটি ভাঙ্গা থাকার করণে যাতায়াতে যেমন কষ্ট করতে হচ্ছে তেমনি গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। মাত্র ১০ কিলোমিটার রাস্তায় হাবডাউনে( যাওয়া আসা) মোটরসাইকেল ভাড়া ৪শত টাকা তাও আবার ৬ স্থানে টোলটেক্স গুণতে হয় একশ টাকার মত। ভাই আমাদের কপালে সুখ হইছেনা আর হবেও না। মোদেরগাও গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান হাজী জালাল উদ্দিন(৭০) বলেন, তাহিরপুর উপজেলা থেকে সরকার প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব নিচ্ছে। এ এলাকার বালু-পাথর দিয়ে সারা দেশের রাস্তাঘাট তৈরি হচ্ছে। আর এই এলাকার রাস্তাঘাটের বেশির ভাগ ভাঙ্গচুরা আর কাচা। অফিস আদালতে কোন কাজে একদিন তাহিরপুরের মোটরসাইকেলে যোগে যাওয়া আসা করলে দশ দিন বিছানায় পড়ে থাকতে হয়। এব্যাপরে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন, তাহিরপুর –বাদাঘাট সড়কের সংস্কারের প্রযোজনিয় ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামন কামরুল বলেন, বাদাঘাট-তাহিরপুর সড়কটি জনসাধারণের আসয়াওয়া ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বর্পূণ। তাই বন্যায় ভাঙ্গণ কবলিত সড়কটি জনস্বার্থে দ্রুত মেরামত করার প্রয়োজন।