জৈন্তাপুরে বান্ধবী নিয়ে অফিসে, কাণ্ড…

Jaintyaজৈন্তাপুর প্রতিনিধিঃ বান্ধবীকে নিয়ে নিজ রুমে খোঁশ গল্পে মেতে উঠলে উত্তোজিত জনতার রোষানলে পড়েন জৈন্তাপুর উপজেলা সাব-রেজিষ্ঠার শংকর কুমার ধর। অবিলম্ভে ‘দুর্নীতিবাজ ও লম্পট সাব-রেজিষ্টার শংকরকে’ জৈন্তাপুর থেকে প্রত্যাহার দাবি করেন ক্ষুব্ধ জনতা। অবশেষে সহকারী কমিশনার ভূমির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
উপস্থিত জনতা ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় জৈন্তাপুর উপজেলা সাব-রেজিষ্ঠার বিকাল ২টায় এজলাসে ওঠেন। প্রায় ঘন্টাখানেক এজলাসে থাকার পর অতি পরিচিত এক বান্ধবী ফোন দিলে তিনি এজলাশ ছেড়ে চলে আসেন নিজ কক্ষে। বান্ধবীকে নিয়ে খোঁশগল্পে মেতে ওঠেন তিনি।
সকাল ১০টা থেকে রেজিষ্ট্রি করতে আসা লোকজন হরিপুর এলাকার মুজিবুর রহমান কালা, মুহিব আহমদ, হরিপুর হেমু গ্রামের রুহুল আমিন, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা নজমুল ইসলাম, হেমু ভেলোপাড়া গ্রামের মো. জমির উদ্দিন, চারিকাটা ইউনিয়নের রামপ্রসাদ গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, দরবস্ত ইউনয়নের সাতারখাই গ্রামের বিলাল উদ্দিন, সারিঘাট এলাকার লিয়াকত আলী, দরবস্ত নুরপুর গ্রামের সাহেদা বেগম, আফিয়া বেগম, সাফিয়া বেগম, চাল্লাইন গ্রামের আজিরা বেগম, কুড় গ্রামের রাজিয়া বেগম সহ প্রায় কয়েক শতাধিক ভুক্তভোগি জানান দীর্ঘ দিন থেকে রেজিষ্ট্রারী কর্মকর্তা এই সেই দেখিয়ে বিভিন্নভাবে তাদেরকে হয়রানি করে আসছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ২/৩ সাপ্তাহ ঘুরে এখন পর্যন্ত জমি রেজিষ্টি করতে পারেননি। এছাড়া অভিযোগ উঠেছে অতিরিক্ত টাকা কামাই করার জন্য রেজিষ্টার টালবাহানা করে অফিস টাইম পার করে অতিরিক্ত সময়ে দলিল করে দেওয়ার নামে প্রতি দলিলে ৫ শত টাকা করে বাধ্যতামূলক ফি আদায় করে আসছেন এবং রশিদের মাধ্যমে দলিল রেজিষ্টি করার বিধান থাকলেও নগদ টাকার বিনিময়ে তিনি রশিদ ছাড়া দলিল করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তারা আরও বলেন, আমরা সকাল থেকে এসে দীর্ঘ লাইন ধরে রেজিষ্টারী করার আসায় বসে থাকার পরেও তিনি এজলাসে না এসে বান্ধবীকে নিয়ে বসে খুশগল্পে মেতে উঠেন। দীর্ঘ সময় পার হওয়ার পর কর্মকর্তা এজলাসে না আসায় উত্তেজিত দলিল গ্রহকরা সাবরেজিষ্ঠার শংকর কে বান্ধবী সহ অবরোধ করে রাখে। এসময় বান্দবীকে স্থানীয় জনতা আটকে রাখে।
ঘটনার খবর পেয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার এস.আই আব্দুল মোতালেব দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে উত্তোজিত জনতার হাত থেকে রেজিষ্টার শংকর কুমার ধরকে উদ্ধার করে তার অফিস কক্ষে নিয়ে আসে। খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ মো. শহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌছেলে উত্তোজিত জনতা সাব ‘রেজিস্ট্রার শংকর’কে দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে অপসারণ দাবি করে। জনতার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সহকারী কমিশনার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ খালেদুর রহমান জানান, লোক মূখে ঘটনাটি জানতে পেরেছি। জরুরি কাজে সিলেট শহরে মিটিংয়ে আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত করে বিষয়টি দেখা হবে।