১৪ ফেব্রুয়ারি প্রেমিক-প্রেমিকাকে একসঙ্গে দেখলেই বিয়ে
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ ভ্যালেন্টাইনস ডে বা বিশ্ব ভালবাসা দিবস । আর এই দিন যদি কোনও প্রেমিক-প্রেমিকাকে গোলাপ ফুল হাতে দেখা যায় কিংবা কোনো পার্কে আলিঙ্গনরত অবস্থায় দেখা গেলেই সমাজের নিয়ম অনুযায়ী তাদের বিয়ে দেওয়া হবে । এমনকি যদি প্রেমিক ও প্রেমিকা এক ধর্মের বা গোত্রের না হন, তাহলে তাদেরকে শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে ।
আর মাত্র ১০ দিন পরেই ভ্যালেন্টাইনস ডে/বিশ্ব ভালবাসা । আর এরই মধ্যে নড়েচড়ে বসল ভারতের পশ্চিম উত্তর প্রদেশের হিন্দু মহাসভা । তাদের ঘোষণা অনুযায়ী, এইদিন যদি প্রণয়ী যুগলরা একসঙ্গে উদযাপন করলে তাদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হবে । এই ধরণের পশ্চিমী প্রথা জনসমক্ষে উদযাপন করা ভারতের মতো দেশের শোভা পায় না ।আর তাই এই নিদের্শ হিন্দু মহাসভার ।
মহাসবার সভাপতি চন্দ্র প্রকাশ কৌশিক একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, ভারতের মতো দেশে বছরের ৩৬৫ দিনই ভালবাসার দিন । তবে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনস ডে উদযাপন করার প্রয়োজন কী? আমরা ভালবাসার বিপক্ষে নই, কিন্তু যারা একে অপরকে ভালবাসে বলে দাবি করে তাদের অবিলম্বে বিয়ে করা উচিত্ বলে মন্তব্য করেন । আর যদি তারা আমাদের বলেন যে ভাবার জন্য সময় প্রয়োজন, তাহলে অবশ্যই তাদের একসঙ্গে ঘোরাফেরা করা উচিত্ নয় । আমরা ওদের অভিভাবকদেরও বিষয়টা জানাবো ।
হিন্দু মহাসভা দশ দিন আগে থেকেই বিয়ে নিয়ে ধন্দে থাকা প্রেমিক-প্রেমিকাদের খুঁজে বের করার জন্য পশ্চিম উত্তর প্রদেশে বিভিন্ন দল নিযুক্ত করেছে । এই গোষ্ঠীর আগ্রার প্রতিনিধি মহেশ চন্দনা জানালেন, যদি ভারতের সকল মানুষ হিন্দু হতেন তাহলে আমরা অসবর্ণ বিয়ে মেনে নিতাম । কিন্তু তা যেহেতু নয়, তাই প্রেমীযুগলকে শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে ।
তবে উল্লেখ্য যে, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি হিন্দু সম্মেলন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এই বছর ভ্যালেন্টাইনস ডেতে জোর করে বিয়ে দেওয়া থেকে বিরত থাকছে বজরঙ্গ দল । অন্যদিকে, হিন্দু মহাসভার মিরাটের প্রতিনিধি পন্ডিত অশোক শর্মা জানিয়েছেন যেসব হিন্দুরা অন্য ধর্মের প্রতি সহৃদয় তাদের ঘর ওয়াপসি প্রয়োজন । যাতে তারা অন্য কোনও ধর্মের অস্তিত্বই না স্বীকার করে । বুধবার চন্দ্র প্রকাশ কৌশিক মিরাটে গিয়ে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানা গেছে ।