বাংলাদেশ থেকে শতাধিক ইমাম ও মুয়াজ্জিন নেবে কাতার
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ প্রায় দুই দশক ধরে রাজধানী দোহাসহ কাতারের বিভিন্ন শহরের মসজিদে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশি ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খতিবেরা।
১৯৯০ সালে প্রথম সরকারিভাবে ইমাম-মুয়াজ্জিন নেওয়া শুরু করে কাতার। মাঝে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবার বাংলাদেশি ইমাম-মুয়াজ্জিন আসার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। শিগগিরই শতাধিক ইমাম-মুয়াজ্জিন নেবে কাতার।
১৯৯০ সালে প্রথম পরীক্ষা নিয়ে কাতারে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল ১৮ জন ইমাম-মুয়াজ্জিন। পরের বছর যান আরও ছয়জন। ধীরে ধীরে এ সংখ্যা বাড়তে থাকে। বর্তমানে কাতারে কর্মরত ইমাম-মুয়াজ্জিনের সংখ্যা ৭০০ জনের বেশি। সর্বশেষ ২০০৭ এবং ২০০৮ সালে দুই দফায় বাংলাদেশ থেকে শতাধিক ইমাম-মুয়াজ্জিনকে নিয়োগ দিয়েছিল কাতার। এরপর দীর্ঘদিন ইমাম-মুয়াজ্জিন নিয়োগ দেওয়া বন্ধ ছিল।
জানা গেছে, সম্প্রতি কাতার ওয়াকফ ও ধর্ম মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ থেকে ইমাম-মুয়াজ্জিন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ লক্ষ্যে কাতার থেকে পরীক্ষক দল ঢাকায় যাওয়ার সিদ্ধান্তও চূড়ান্ত হয়েছে। প্রথম দফায় যাবেন পরীক্ষা ও যাচাই-বাছাই কমিটির সমন্বয়ক ও বাংলাদেশি ইমাম হাফেজ মাওলানা ফখরুল হুদা ও একজন বিদেশি কর্মকর্তা।
জানা গেছে, রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমপ্লেক্সে ১০ দিনব্যাপী প্রথম পর্যায়ের সাক্ষাৎকার ও পরীক্ষা চলবে। এ ধাপে উত্তীর্ণদের চূড়ান্ত পরীক্ষা নিতে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি কাতার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল ঢাকায় যাবে।
ইমাম ও খতিব পরীক্ষক কমিটির সমন্বয়ক ফখরুল হুদা বলেন, এবারের যাচাই-বাছাই শেষে বাংলাদেশ থেকে শতাধিক ইমাম ও মুয়াজ্জিনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ২০ থেকে ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত যেকোনো কর্মক্ষম সুস্থ হাফেজ ঢাকায় সাক্ষাৎকারে অংশ নিতে পারবেন। প্রার্থীকে অবশ্যই পুরো কোরআন শরিফের হাফেজ হতে হবে। প্রয়োজনীয় ইসলামি জ্ঞান ও ভালো কণ্ঠের অধিকারী এবং আরবি জানা প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
কাতার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বর্তমানে কাতারে ১ হাজার ৮০০ মসজিদ রয়েছে। প্রতিটি মসজিদে একজন ইমাম, একজন মুয়াজ্জিন এবং একজন খতিব রয়েছেন। কাতার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদেও দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশি ইমামরা।