আ’লীগ নেতা বন্দুক দিয়ে চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে ফাসানোর চেষ্টায় ৫ মৌজার প্রতিবাদ সভা

মিথ্যা মামলায় ফাসানোর চেষ্টার ঘটনায় নবীগঞ্জে আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে ৫ গ্রামের জনতার প্রতিবাদের একাংশ।
মিথ্যা মামলায় ফাসানোর চেষ্টার ঘটনায় নবীগঞ্জে আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে ৫ গ্রামের জনতার প্রতিবাদের একাংশ।

নবীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের গোলাপ ও সাবেক মেম্বার জিতু মিয়াকে আওয়ামীলীগ নেতা ফয়েজ আমীন রাসেল কর্তৃক বন্দুক দিয়ে মামলায় ফাসানোর চেষ্টার ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে ৫ মৌজার উদ্যেগে স্থানীয় উমেদগঞ্জ বাজারে এক বিশাল প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়েছে। এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বি কদ্দুস মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সভায় বক্তব্য রাখেন, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের গোলাপ, ওয়ার্ড মেম্বার খরছু মিয়া, সাবেক মেম্বার জাহির আলী, আব্দুল খালিক, বিশিষ্ট মুরব্বি হুমায়ুন মিয়া, ছনাওর মিয়া, মানিক মিয়া, গফুর মিয়া, আব্দুল হাই, হীরা মিয়া, নোয়াজ আলী, আকল মিয়া, ফঠিক মিয়া, লতিফুর রহমান, মখছুদ চৌধুরী, জালাল মিয়া, আমজদ আলী, কদ্দুস মিয়া, রুহুল আহমদ, আজাদ মিয়া, সুন্দর মিয়া, পুতুল মিয়া, মোবারক মিয়া, আবারক উল্লাহ, আজির উদ্দিন, সফিক মিয়া, মামদ মিয়া, হামিদ মিয়া, শাহ রুহুল আমীন প্রমুখ।
উল্লেখ্য কোটি টাকা মুল্যের বাড়ী দখলের ঘটনার নায়ক বহুল আলোচিত পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়েজ আমীন রাসেল গত রবিবার রাতে তার নিজ বাড়ীতে লোগাও গ্রামের রমজান আলী নামের এক যুবককের মাধ্যমে একটি দু’নলা বন্দুক হাতে দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে এ সময় ধৃত যুবক তাদের সামনে জানায় এই বন্দুক চেয়ারম্যান গোলাপ ও জিতু মিয়া মেম্বার দিয়েছেন রাসেলের পরিবারের ক্ষতি করার জন্য। পরে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে ব্যাপক জিঞ্জাসাবাদ করলে সে জানায় রাসেলই তাকে মারপিট ও ভয় দেখিয়ে চেয়ারম্যান গোলাপ ও জিতু মিয়াকে ফাসনোর জন্য বলে। পরে নবীগঞ্জ থানার এস আই সুধীন দাশ বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ মঙ্গলবার ধৃত রমজান আলীকে হবিগঞ্জ আদালতে হাজির করলে ১৬৪ ধারায় ম্যাজিস্টেটের সামনে ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্ধি দেয়।