তরেক রহমান রাজনৈতিক দর্শন চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্রের উদ্বেগ
ক্ষমতাসীনদেরকে অসহযোগিতা করার জন্য প্রশাসনের সকল স্থরের কর্ণধার এবং গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের
করে ক্ষমতাসীনরা দেশকে ভয়ানক সঙ্ঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে
গণতন্ত্র পুনরোদ্ধার, অবৈধ ক্ষমতাসীনদের পদত্যাগ এবং অবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে জাতীয় নির্বাচনের জোর দাবীতে দেশে চলমান আন্দোলন,সংগ্রাম ও শান্তিপূর্ণ স্বতস্ফুর্ত অবরোধ কর্মসূচির সফল নেতৃত্বদানকারী মজলুম আপসহীন গণতন্ত্রকামী নেত্রী সাবেক প্রধান মন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে দেশী বিদেশী কতিপয় বিপদগামী মহলের যোগসাজোসে জিয়া পরিবার এবং সারা বাংলাদেশের ২০ দলীয় ঐক্যজোটের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রযন্ত্রের সকল শক্তির অপব্যবহার করে অসাংবিধানিক উপায়ে স্বশস্ত্র যুদ্ধ ঘোষণা করেও হালে পানি পাচ্ছে না ক্ষমতাসীনরা। উল্লেখ্য যে, অবৈধ ক্ষমতাসীনরা গত বছরের ৫ জানুয়ারী ১৬ কোটি জনতার ভোটাধিকারকে পুলিশ,বিজিবি ও সেনা প্রহরায় ছিনতায় করেছে। লুট করেছে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে । দেশের প্রতিটি ইউনিট পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়া গণতন্ত্রকামী জনতার আন্দোলনের দাবানলকে অস্ত্র দিয়ে মোকাবেলা করতে গিয়ে বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের মাধ্যমে গত এক বছরের অধিককাল ধরে এই দেশের হাজার হাজার নিরিহ মানুষকে হত্যা করে চলেছে ক্ষমতাসীনরা। ২০ দলীয় এক্যজোটের চলমান আন্দোলন,সংগ্রাম ও শান্তিপূর্ণূ স্বতস্ফুর্ত অবরোধ কর্মসূচিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টায় ক্ষমতাসীন এজেন্টরা পেট্রোল বোমা, গান পাওডার দিয়ে গাড়ি পুড়িয়ে পরিকল্পিত নাসকতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে যাচ্ছে। আন্দোলনরত নেতা কর্মীদেরকে ক্ষমতাসীনরা একের পর এক ক্রস ফায়ারের নামে হত্যা করছে। আমরা চলমান আন্দোলন সংগ্রামে আহত, নিহত সকল ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। জাতীয় নেতৃবৃন্দদেরকে গণহারে গ্রেপতার ও মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলের অন্ধকার প্রকোষ্টে নিক্ষেপ করছে। জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে প্রায় পরাজিত হয়ে ব্যাপক গণ-সমর্থনপুষ্ট চলমান আন্দোলন, সংগ্রাম এবং অবরোধ কর্মসূচির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রযন্ত্রের সকল শক্তির সম্মিলিত যুদ্ধ ঘোষণার পরেও ‘শেখ হাসিনার পদত্যাগ’-এর ‘এক দফার চলমান আন্দোলন নস্যাৎ করার ক্ষমতাসীনদের সকল অপতৎপরতা ধোপে টিকছেনা। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের গণমূখী নেতৃত্বে আজ পুরো বাংলাদেশ আবর্তিত ও ঐক্যবদ্ধ। জিয়া দম্পতির ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর নামাজে জানাযায় দেশব্যাপী প্রায় পুরো জাতির অংশগ্রহণ ১৬ কোটি গণতন্ত্রকামী জনতার আন্দোলনেরই প্রকৃত প্রতিচ্ছবি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সহ পুরো জিয়া পরিবার বর্তমানে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু শোকে মুহ্যমান । শুধু তাই নয়, জিয়া দম্পতির এই সদস্যের অকাল মৃত্যুতে আজ গোটা জাতি শোকাহত। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দেওলিয়াত্ব এবং জনবিচ্ছিন্নতার কারণে অবৈধ ক্ষমতাসীনরা বর্তমানে দেশত্রেী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একের পর এক ‘মামলা নাটক’ মঞ্চস্থ করে চলেছে। গত ৫ জানুয়ারী ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র হত্যাকারী’ এবং ১৬ কোটি জনতার ‘ভোটাধিকার ছিনতাইকারী’ একটি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে চরম অবৈধতার সনদ প্রাপ্ত আজকের বাংলাদেশের জনগণের মসনদ দখলকারী ক্ষমতাসীন প্রধানের এজেন্টরা সাবেক তিন তিন বারের প্রধান মন্ত্রী বাংলাদেশের ৯৮% জনগণের অধিকার বাস্তবায়নে প্রতিনিধিত্বকারী আপোষহীন মজলুম গণতন্ত্রকামী নেত্রী বেগম খালেদার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার দৃষ্ঠতা দেখাচ্ছে। ক্ষমতাসীনদের সংকট উত্তরণে একটি ফলপ্রসু সংলাপে তীব্র অনিহা এবং দেশনেত্রীর বিরদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে দেশে ভিতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির রাষ্ট্রযন্ত্রের দৃস্যমান সকল অপতৎপরতা চলমান গণ-আন্দোলনের দাবানলে পেট্রোল প্রয়োগের নামান্তর মাত্র। তারওপর, প্রজাতন্ত্রের বিভিন্ন স্থরের কর্ণধারদের একের পর এক জনসাংঘর্ষিক হুঙ্কার এবং জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীনদের মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিযোগিতা দেশ ধাপে ধাপে ভয়ানক গৃহ যুদ্ধের দিকে ধাবিত হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, দেশের বর্তমান ভয়ানক সংকটের জন্য অবৈধ ক্ষমতাসীনরাই একমাত্র দায়ী। কিন্তু অত্যন্ত দঃখের বিষয় হচ্ছে বর্তমান অবৈধ ক্ষমতাসীনদেরকে প্রশাসনের কতিপয় কর্মকর্তা অসাংবিধানিক উপায়ে নগ্নভাবে সমর্থন দিয়ে
যাচ্ছে। আমরা প্রশাসনের হুঙ্খাররত কর্মকর্তাদের সংযত ও দায়ীত্বশীল এবং সর্বোপরি সাংবিধানিক গণতন্ত্রকামী জনতাবান্ধব আচরণ করার আহ্বান করছি। শুধু তাই নয়, আমরা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্থম্ব এবং জাতির বিবেক খ্যাত সর্বস্থরের গণ-মাধ্যমকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবৈধ ক্ষমতাসীনদেরকে সার্বিকভাবে অসহযোগিতা করার অনুরোধ জানাচ্ছি এবং সাথে সাথে দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে চলমান আন্দোলন, সংগ্রাম এর সঠিক চিত্র প্রচার ও প্রকাশ করে গোটা জাতির বিরাজমান ক্রান্তিলগ্নে ক্ষমতাসীনদের আতংকমুক্ত হয়ে দায়ীত্বশীল আচরণের মাধ্যমে দেশের ৯৮% জনগণের চলমান সংগ্রামে অর্থবহ সম্পৃক্ত হওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। এই সংগ্রাম, অবরোধ বিএনপি বা ২০ দলীয় জাটের একার নয় বরং চলমান আন্দোলন সংগ্রাম দেশের লুন্ঠিত গনতন্ত্র পুনরোদ্ধারের, সুশাসন প্রতিষ্ঠার এবং ১৬ কোটি জনতার অধিকার বাস্তবায়নের। এই আন্দোলনে দেশের সকল গণমাধ্যমের শরিক হওয়া নৈতিক দায়ীত্ব বলে আমরা মনে করি। আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া,তারেক রহমান এর বিরুদ্ধে সকল মিথ্যা মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি, অবিলম্বে জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে সকল মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবী জানাচ্ছি। সাথে সাথে সারা দেশে আন্দোলনরত সংগ্রামী নেতাকর্মীদেরকে গণগ্রেপতারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে সকল রাজবন্ধি ও গ্রেপতারকৃত ২০ দলীয় ঐক্যজোটের সকল নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করছি। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্রকামী জনতার বিজয় না হওয়া পর্যন্ত ২০ দলীয় ঐক্যজোটের চলমান অবরোধ কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে। পরিশেষে, দেশকে অনিবার্য গৃহযুদ্ধ থেকে রক্ষার জন্য অবিলম্বে ক্ষমতাসীনদেরকে পদত্যাগ করে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে ক্ষমতা হস্তান্তর করে অংশগ্রহণমূলক দেশে বিদেশে গ্রহণযোগ্য অতিদ্রুত একটি জাতীয় নির্বাচনের পথ সুগম করার লক্ষ্যে একটি অর্থবহ সংলাপ আয়োজনের জন্য দেশের গণতন্ত্রকামী সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করছি এবং সঙ্ঘাতমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে প্রশাসনের সকল স্থরের কর্ণধার এবং গণমাধ্যমের প্রতি বর্তমান অবৈধ ক্ষমতাসীনদেরকে অসযোগিতা করার আহ্বান।
বিবৃতি দাতারা হচ্ছেন- তারেক রহমান রাজনৈতিক দর্শন চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান শাহজাহান চৌধুরী, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আলী ইউছুফ, গবেষণা কেন্দ্রের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক যুক্তরাজ্য লেবার পার্টির নেতা যুক্তরাজ্য ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা নিউ হোপ-এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এম.বি.ই. মহাসচিব আলমগীর নূর, সিনিয়র যগ্ম মহাসচিব ইয়াসমিন আক্তার শিমু, যুগ্ম মহাসচিব শাহ সারোয়ার হোসেন। বিজ্ঞপ্তি