আসছে আরও দুই দফা হরতাল : ফেব্রুয়ারিতে অসহযোগ
jutসুরমা টাইমস ডেস্কঃ টানা অবরোধের মধ্যেই আগামী সপ্তাহে আরো দুই দফা হরতালের ডাক দেওয়ার চিন্তা করছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। রবিবার থেকে হরতালের ঘোষণা আসতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন বিএনপির শীর্ষস্থানীয় এক নেতা। আর ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের শেষে বা দ্বিতীয় সপ্তাহে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়ার চিন্তা করছেন জোটের শীর্ষস্থানীয় নেতারা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য গতকাল মঙ্গলবার রাতে কালের কণ্ঠকে জানান, আগামী সপ্তাহে হরতালের ডাক দেওয়া হবে। তবে তা ৩৬ ঘণ্টার হবে, না কি ৪৮ ঘণ্টার হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। প্রথম দফা হরতাল শেষে আগামী সপ্তাহেই আরেক দফা হরতাল দেওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে। জোটের একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতা গতকাল জানান, সরকার সংলাপের পরিবেশ সৃষ্টি না করা পর্যন্ত ২০ দলীয় জোটের আন্দোলন চলবে। অবরোধের পাশাপাশি হরতালও দেওয়া হবে। আর ফেব্রুয়ারির প্রথম কিংবা দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে অসহযোগের ডাক দেওয়া হতে পারে। দশম সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তির দিনকে ‘গণতন্ত্র হত্যা ও কালো দিবস’ হিসেবে পালন করতে চেয়েছিল বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট। ওই দিন রাজধানীতে সমাবেশও করতে চেয়েছিল তারা, তবে অনুমতি মেলেনি। এর প্রতিবাদে ৫ জানুয়ারি থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। অবরোধের মধ্যেই বেশ কয়েক দফা হরতালও পালন করেছে ২০ দলীয় জোট।
এদিকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ গতকাল এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এসেও ফিরে যাওয়ায় তিনি নাকি অপমানবোধ করেছেন। আমরা সংবাদপত্র থেকে বিষয়টি জেনেছি। তাঁর আসাকে বিএনপি ইতিবাচক হিসেবেই দেখেছে। সে জন্য বিএনপি চেয়ারপারসনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। কিন্তু মনে হচ্ছে শোক জানানোর চেয়ে নোংরা রাজনীতিটাই মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনার।’ দলের সহদপ্তর সম্পাদক আবদুল লফিত জনি স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে রিজভী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মামলা দায়েরের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিহিংসার আগুন এত লেলিহান যে, তিনি সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান ও মুক্তিযুদ্ধের একজন সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানের ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর লাশ বনানী সামরিক কবরস্থানে দাফন করতে দিলেন না। কোকোর জানাজায় যাতে লোকসমাগম বেশি না হয় সে জন্য ২০ দলীয় জোটের নেতাদের সরকারের গোয়েন্দা বাহিনী হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, কোকোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর সমবেদনা জানাতে আসার উদ্দেশ্যই ছিল অপরাজনীতি ও কুটিল চাতুরি। আরেক বিবৃতিতে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুতে বিএনপি ঘোষিত দেশব্যাপী তিন দিনের শোক কর্মসূচি পালনের জন্য বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও দেশবাসীকে দলের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান রিজভী। এ ছাড়া কোকোর জানাজায় সর্বসাধারণের ঢল নেমেছিল- উল্লেখ করে এতে যোগ দেওয়ার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে ঢাকাবাসী এবং ২০ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে।