রাজনগরে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্র ও রডের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত কৃষক মুক্তার মিয়া
মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার: প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্র ও লোহার রডের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত অসহায় কৃষক মুক্তার মিয়া শরীরের যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। বিরোধকে কেন্দ্র করে রাজনগর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মাসুক মিয়া ও তার পুত্র নাজমুল মিয়া, বুলবুল, রাসেল, আবুল হাসান, সীতার আলী, রামপুর গ্রামের জামাল মিয়া ও তার পুত্র ফয়েজ বেশ কিছুদিন যাবৎ গোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক মুক্তার মিয়াকে হত্যার সুযোগ খুজছিল। ঘটনার দিন গত ২৩ জানুয়ারী বেলা ২টার দিকে মুক্তার মিয়া অটোরিক্সাযোগে মৌলভীবাজার আসার পথে মোকামবাজারের আরব উল্ল্যা মার্কেটের সামনে পৌছলে নাজমুল মিয়া, বুলবুল, ফয়েজ ও রাসেল তার উপর সশ্বস্ত্র হামলা চালায় এবং আবুল হাসান, মাসুক মিয়া, জামাল মিয়া ও সীতার আলীকে খবর দিলে তারা এসে যোগ দেয় এবং সবাই মিলে মুক্তার মিয়াকে বেধড়ক পিটিয়ে মাটিতে ফেলে তার পকেটে থাকা নগদ ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং পা দিয়ে তার গলা চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করার চেষ্টা চালায়। এমতাবস্থায় মুক্তার মিয়ার শোর-চিৎকারে তার স্ত্রী জাহানারা বেগম, ্ইব্রাহিম মাস্টার, জুবেল মিয়া, মজিদ মিয়া প্রমুখ ছুটে আসলে মুক্তার মিয়া ও তার স্ত্রী জাহানারা বেগমকে হত্যার হুমকী দিয়ে হামলাকারীরা চলে যায়। ধারালো অস্ত্র ও লোহার রডের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত ও বাম হাতের কব্জি ভাঙ্গা মুমুর্ষ অবস্থায় মুক্তার মিয়াকে প্রথমে রাজনগর স্বাস্থ্য কমপেক্সে ভর্ত্তি করা হয়। সেখান থেকে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় মুক্তার মিয়ার স্ত্রী জাহানারা বেগম বাদী হয়ে রাজনগর থানায় একটি মামলা (নং- ২০, জিআর- ২০, তারিখ- ২৫/০১/২০১৫ইং) দায়ের করেন। সর্বশেষ- এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২৭ জানুয়ারী সকল আসামী জামিনে ছাড়া পাবার খবর পেয়ে মুক্তার আলী চরম আতংকে নিপতিত হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে।