যুক্তরাষ্ট্রে জিয়াউর রহমান ওয়ে : মামলায় আবারও হেরে গেলো আওয়ামী লীগ
নিউইয়র্ক থেকে এনা : যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো সিটিতে স্থাপিত জিয়াউর রহমান ওয়ে’র বিরুদ্ধে মামলা করে আবারও হেরে গেলো যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ। শাহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নামে রাস্তার নামকরণের পর যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শিকাগোতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মনির চৌধুরী বাদী হয়ে একটি মামলা করেছিলেন। সেই মামলায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ হেরে যায়। ক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান কয়েকদিন আগে নিজে শিকাগো গিয়ে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন গত ১৪ জানুয়ারি। গত ২২ জানুয়ারি সকাল ৯টায় ছিলো মামলার শুনানী। মামলার শুনানী শেষ মাননীয় আদালত আগের রায়ই বহাল রাখেন এবং মামলাটি খারিজ করে দেয়।
মামলার রায় ঘোষণার পরে ওয়ে’র উদ্যোক্তা এবং প্রস্তাবক, বিএনপি’র বিশেষ দূত শাহ মোজাম্মেল এনাকে বলেন, এই রায়ে আবারও প্রমাণ হলো শহীদ জিয়া শুধু দেশে নন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সমান জনপ্রিয় ছিলেন। অন্যদিকে এই ওয়ে’র বিরুদ্ধে মামলা করে আওয়ামী লীগ নিজেদের আবারও ফ্যাসিবাদী হিসেবে প্রমাণ করেছে।
শিকাগো বিএনপি নেতা ও কাউন্সিল মেম্বার, ইলিনয় সেক্রেটারী অব স্টেট জেসি উইথি, এশিয়ান আমেরিকান এ্যাডভাইজরী কাউন্সিল শাহ মোজাম্মেল দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করছিলেন শিকাগো শহরে প্রেসিডেন্ট জিয়ার নামে একটি ওয়ে করার জন্য। এ জন্য সিটির চাহিদা অনুযায়ী বিপুল পরিমান ডকুমেন্ট জমা দিতে হয় সিটি কর্তৃপক্ষের কাছে। সেই সব ডকুমেন্টে প্রমাণ হয়েছে যে, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের বাইরে সমান জনপ্রিয় একজন রাষ্টনায়ক ছিলেন। একই সাথে তিনি বাংলাদেশে গণতন্ত্র পূনঃপ্রতিষ্ঠা এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাও ফিরিয়ে আনেন । সবকিছু বিবেচনা করে শিকাগো সিটি কর্তৃপক্ষ গত বছরের সেপ্টেম্বরে ‘অনারারী জিয়াউর রহমান ওয়ে’ ঘোষণা করে। ওই বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর ওয়ে’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
কিন্তু স্থানীয় একটি সংগঠনের ব্যানারে আওয়ামী লীগ এর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে। বিস্তারিত শুনানীর পর আদালত ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ মামলাটি খারিজ করে দিয়ে বলে, তাদের কাছে সবদিক বিচার বিশ্লেষণ করে মনে হয়েছে, জিয়াউর রহমান একজন ভাল মানুষ ছিলেন। তার নামে শিকাগো শহরে একটি ওয়ে থাকলে কোনো সমস্যা নেই।
এতে শান্ত হয়নি আওয়ামী লীগ। তারা আবারও উঠেপড়ে লাগে এর বিরুদ্ধে। আবারও এই রায় পরিবর্তনের জন্য শিকাগোর নামকরা একজন এ্যাটর্নীকে বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দেয় তারা। আবারও মামলা করা হয় আগের সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য। এরই শুনানী ছিল স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল নয়টায়। নয়টায় শুরু হয়ে টানা এক ঘন্টা শুনানী শেষে বিচারক নোভাক রিটাম ওয়ে’র নামকরণ জিয়ার নামে রাখার পক্ষে রায় দেন।
উল্লেখ্য ওয়ে’র নামকরণের সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জিয়া উদ্দীন আহমেদ বিভিন্ন দেশের দূতাবাস এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অফিস আদালতে জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অপপ্রচার চালালে সমালোচনার সৃষ্টি হয়।