চাঞ্চল্যকর জয়ী অপহরণ : সেই অনিতা ফের রিমান্ডে
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ চার বছরের কন্যা শিশু স্নিগ্ধা দেব জয়ী অপহরণের ঘটনার মূলহুতা অনিতা ও রবিউলের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার মহানগর মেজিস্ট্রিট আদালতে তাদের হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড চান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এ সময় আদালতের বিচারক শাহেদুল করিম ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশারফ হোসেন এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলার আসামী অনিতা ও রবিউলকে আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আগামী ২৬ জানুয়ারির মধ্যে তাদের রিমান্ডে আনা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, মামলার অপর আসামী শংকরকে রিমান্ডে আনারও আবেদন করা হয়েছে। আমরা তার জন্যও ৫ দিনের রিমান্ড চেয়েছি। সে ওই মামলায় জামিনে থাকায় গতকাল তার রিমান্ড শুনানী হয়নি। পরবর্তী তারিখে শংকরের রিমান্ডের আবেদনের শুনানী হবে।
এর আগে গত ৭ জানুয়ারি শিশু জয়ীকে উদ্ধার করতে এসএমপি পুলিশকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। নির্দেশের পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে শিশু জয়ীকে উদ্ধার করতে সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার ও কোতোয়ালী থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত বছর ৩০ নভেম্বর জয়ী অপহরণকারী আসামীদের পক্ষে আইন শালিস কেন্দ্রের পক্ষ থেকে একটি রিট পিটিশন করা হয়। যার নম্বর-১১১৩৮/১৪। এরপর অপহৃত শিশু স্নিগ্ধা দেব জয়ীর পক্ষে মানবাধিকার তথ্য পর্যবেক্ষন সোসাইটির সহযোগিতায় তার মা শর্বানী দেব তুলি হাইকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীকে তাদের মামলা পরিচালনায় নিযুক্ত করেন। ওইদিন রিট পিটিশনটির শুনানী ছিল। বিচারপতি কাজি রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহেন মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ দীর্ঘ শুনানী শেষে আগামী এক মাসের মধ্যে শিশু জয়ীকে উদ্ধার করতে পুলিশ কমিশনার ও কোতোয়ালী থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়ে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানীর দিন ধার্য্য করেন। রিট পিটিশনের শুনানিকালে জয়ীর মা শর্বানী দেব তুলির পক্ষে হাইকোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী মামলা পরিচালনা করেন।
প্রসঙ্গত, চার বছরের কন্যা শিশু স্নিগ্ধা দেব জয়ী অপহরণ হয় প্রায় ১৮ মাস আগে। ২০১৩ সালের ২১ জুলাই সিলেট নগরীর শেখঘাট ভাঙাটিকর এলাকার নবীন ৩৪/৩ বাসা বেলা ২টা থেকে আড়াইটার মধ্যেই সে নিখোঁজ হয়। পুলিশ প্রশাসনের দীর্ঘ তদন্ত, আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, আর জয়ীর মা-বাবার অভিযোগের তীর ছিল একই গন্তব্যে। জয়ীর মা-বাবা বলছেন, জয়ীকে অপহরণ করে শংকর, অনিতা ও রবিউল নিঃসন্তান কোনো পরিবারের কাছে বিক্রি করেছেন। তাই তাদেরকে ভালভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই জয়ীকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।