শিশুরা খেলতে গেলেও ককটেল পায়!
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সিলেটে এখন ককটেল, পেট্রোল বোমা. হাত বোমার ছড়াছড়ি। আন্দোলনের নামে এ সব ফুটিয়েই নগরীতে চলছে নাশকতা। এ সব বিস্ফোরণে এখন অনেকেই হচ্ছেন দগ্ধ। সর্বশেষ সিলেট-তামাবিল সড়কের বাগেশ্বর এলাকায় চলন্ত ট্রাকে পেট্রোল বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় জীবন মৃত্যুর সন্দিক্ষনে আছেন চালক বকুল দেবনাথ। এরআগে নগরীর বিভিন্নস্থানে ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক ছড়ানো হয়। ককটেল জাতিয় এসব কিস্ফোরণ কোথায় তৈরি হয় কিংবা কোথা থেকে আসে তার কোনো তথ্য নেই প্রশাসনের কাছে। সিলেটের ককটেলের এমন ছড়াছড়ি হয়েছে যে, শিশুরা এখন খেলতে গেলেও ককটেল পায়। সর্বশেষ গত বছরের শেষ দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বাড়ির পাশে বাজার যায় এক শিশু। শিশুটি বাড়িতে ফেরার পথে খেলার বল ভেবে ঘরে নিয়ে আসে একটি ককটেল। সন্ধ্যায় শিশুটি ওই ককটেল নিয়ে খেলা করতে করতে বিছানায়ই ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
গতকাল বুধবার নগরীর তাঁতীপাড়ায় খেলতে গিয়ে বাসার ভেতর ককটেল কুড়িয়ে পায় শিশুরা। পরে কোতোয়ালী থানা পুলিশ গিয়ে ককটেল দুইটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে। নগরীর তাঁতীপাড়া ৪১ নম্বর বাসার ভেতর থেকে ককটেল দুইটি উদ্ধার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানান, নগরীর তাঁতীপাড়ার জৈন উল্লাহর মালিকাধীন ৪১ নম্বর বাসার ভেতর কয়েকজন শিশু খেলা করছিল। এ সময় বাসার সীমানা প্রাচীরের ভেতর লাল স্কচটেপে মোড়ানো দুইটি ককটেল দেখে তারা বাসার লোকজনকে জানায়। পরে জৈন উল্লাহর বাসার লোকজন বিষয়টি এলাকাবাসীকে অবগত করেন।
স্থানীয় লোকজন খবর দিলে কোতোয়ালী থানা পুলিশের একটি দল ওই বাসা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ককটেল দুইটি উদ্ধার করে। তবে কারা ককটেল দুইটি বাসার সীমানা প্রাচীরের ভেতর রেখেছিল তাও বের করতে পারেনি পুলিশ।