তাহিরপুরে উপজেলা আ’লীগ সভাপতি পুত্র’র ৪০ টন ভারতীয় চোরাই কয়লার চালান আটক
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জ-৮বর্ডারাগার্ড ব্যাটালিয়নের বিজিবির টহল দলের হাতে বিনা শুল্কে ভারত থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে নিয়ে আসা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন খাঁর পুত্র পারুল খাঁ’র ৪০ মেট্রিক টন চোরাই কয়লার চালান আটক হয়েছে। আটককৃত কয়লার মুল্য প্রায় ৭ লাখ টাকা। ইতিপুর্বে কয়লা চোরাচালান বাণিজ্যের মামলায় ৮ আসামীর ৪ জন গ্রেফতার হলেও ঐ চেয়ারম্যানের ভাতিজা হুমায়ুন সহ অন্য ৪ আসামী হাড়ির খবর ফাঁস হয়ে যাবার ভয়ে আত্বগোপনে রয়েছে।
বিজিবির সুত্রে জানা যায়, স্থানীয় এলাকাবাসীর দেয়া তথ্যের ভিক্তিত্বে ব্যাটালিয়নের অপারেশনাল অফিসার মেজর মো.কামরুজ্জামান খাঁনের নির্দেশে তাহিরপুর উপজেলার বালিয়াঘাট বিওপির বিজিবির একটি টহল দল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন খাঁ’র ছেলে পারুল খাঁ’র মজুদকৃত বিনা শুল্কে নিয়ে আসা ভারতীয় ৪০ মেট্রিকটন চোরাই কয়লার চালান চেয়ারম্যানের শ্যালক বানিয়াগাঁও গ্রামের সিরাজের বাড়ির সংলগ্ন এলাকা থেকে আটক করেছে। কয়লা আটকের সময় থানা পুলিশ ঐ এলাকায় বিশেষ অভিযানের অংশ হিসাবে বিজিবিকে সহযোগআটককৃত কয়লার বর্তমান বাজার মুল্য প্রায় ৭ লাখ টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক লোকজন জানান, গত ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্প এলাকা থেকে ম্যাজিষ্ট্রেট,পুলিশ ও বিজিবির পৃথক পৃথক অভিযানে বিপুল পরিমাণ চোরাই কয়লা আটক হওয়ার পর সীমান্ত এলাকা থেকে ফের চোরাচালানীরা বিপুল পরিমাণ কয়লা সড়িয়ে নেয়। এরই অংশ হিসাবে বালিয়াঘাটা বিওপির লালঘাট, লাকমা, টেকেরাঘাট বিওপির প্রকল্পের স্কুলের পেছনে ,শহীদ মিনার ও কোয়ারীরপাড় চোরাই কয়লার ঘাট দিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিনা শুল্কে চোরাচালানের মাধ্যমে নিয়ে আসা এসব চোরাই কয়লা চেয়ারম্যান পুত্র পারুল তারই মামা সিরাজের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় মজুদ করে রাখে নৌ-পথে দেশের বিভিন্ন ইটভাটায় সরবরাহ করার উদ্দেশ্যে। নৌ-পথে পুলিশী টহলের কারণে আটকে পড়ে ঐ কয়লা মামার বাড়ি পার্শ্ববর্তী এলাকায়।
পারুলের বক্তব্য জানতে বিকেলে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সে বিজিবি কতৃক আটককৃত কয়লা তার নয় বলে অস্বীকার করে। তার মামা সিরাজের বাড়ির পাশে কে চোরাই কয়লা মজুদ করেছিল এ প্রশ্নের উওরে সে বলে কে কয়লা রাখছিন এইত্যা আমি কোনতাই (কিছুই) জানিনা।
আবুল হোসেন খাঁ’র বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে তিনি বললেন, এইত্যা কার কয়লা আমি কইতাম পারিনা, পারুলের কোন কয়লার কারবার (ব্যবসা) নাই ,হে (পারুল) কোন কয়লার কারবার (ব্যবসা) করেনা।
বালিয়াঘাট বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার দেলোয়ার হোসেন জানান, বিনা শুল্কে চোরাচালানের মাধ্যমে ভারত থেকে কয়লা নিয়ে আসা ও মজুদ করার অভিযোগে বিজিবির পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হবে।