বুধ ও বৃহস্পতিবার হরতাল : চার দিনের অচলাবস্থায় সিলেট
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ আগামীকাল বুধবার এবং বৃহস্পতিবার যথাক্রমে ছাত্র শিবির ও ছাত্রদল সিলেটে হরতাল আহবান করায় এবং শুক্র-শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় এ অচলাবস্থায় পড়বে পুরো সিলেট জেলা। এমতাবস্তায় চার দিনের জন্য কর্মচঞ্চলতা হারিয়ে স্থবির হয়ে পড়তে যাচ্ছে সিলেট। তাছাড়া গত ৬ জানুয়ারি থেকে টানা অবরোধের কারণে সারা দেশের মতো সিলেটও স্বাভাবিকত্ব হারিয়েছে ।
টানা অবরোধ আর হরতালে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীসহ পরিবহন সেক্টরের সঙ্গে জড়িতরা সরাসরি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। যাত্রীরা নির্ধারিত গন্তব্যে পৌছতে হিমশিম খাচ্ছেন। স্থানীয় ছোট-বড় রুটে যে সকল যাত্রীবাহী যানবাহন চলছে তারাও নির্ধারিত ভাড়ার চাইতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন। এতে সরাসরি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। এই পরিস্থিতি আরো চরমে পৌছাবে।
হরতালের দুই দিন সরকারি-বেসরকারি সকল অফিস ও আদালত খোলা থাকলেও কর্মস্থলে উপস্থিতির সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় অর্ধেকে নেমে যাবে। ব্যবসা-বাণিজ্যের চলমান স্থবিরতা চরম আকার ধারণ করবে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবেন নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ। দিন এনে দিন খাওয়া শ্রমিক-মেহনতি মানুষেরা পড়বেন চরম বেকায়দায়।
এদিকে, গত ৬ জানুয়ারি থেকে টানা অবরোধ থাকায় সারা দেশের ন্যায় সিলেটসহ আশ-পাশের জেলাগুলো জনজীবন অনেকটাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাছাড়া গত কয়েকদিন থেকে শীর্ষনেতাদের গ্রেফতার সহ নেতা-কর্মীদের বাসা-বাড়ি তল্লাসি চালিয়ে যাচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ফলে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে সহিংসতা। গাড়ি ভাংচুর, আর অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটছে প্রায় প্রতিদিন। টানা কয়েকদিনের সহিংসতায় পুরো সিলেট এখন আতংকের নগরীতে পরিণত হয়েছে।
মঙ্গলবার সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়েরকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে ছাত্র শিবির ১৪ জানুয়ারি বুধবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে। তারা হসানুল মাহবুব জুবায়েরসহ অন্যান্য নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি না দিলে কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করবে বলে হুমকি দেয়।
এদিকে সিলেটে ছাত্রদলের বিদ্রোহী গ্রুপ ১৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে রাখা, গণমাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞাসহ স্থানীয় ও জাতীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে তারা এ হরতালের ডাক দেয়।