কে মানে তার অবরোধ? – ঘর থুয়ে উনি অফিসে কেন?

Hasina- Khaledaসুরমা টাইমস ডেস্কঃ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিএনপি নেত্রী অবরোধের ডাক দিয়েছেন। কিন্তু কে মানে তার অবরোধ? তিনি জঙ্গিবাদের মদদ দিচ্ছেন। তিনি জঙ্গিদের নেত্রী। তিনি রাজনৈতিক দলের নেতা হতে পারেননি।’
সোমবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে এ কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বাসায় না গিয়ে কার্যালয়ে কেন অবস্থান করছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, ‘উনি ঘর থুয়ে অফিসে কেন তার কোনো উত্তর নেই। ওনার তো ঘর ছেঢ়ে অফিসে থাকারই অভ্যাস!’
এরপর শেখ হাসিনা তার স্বভাবসুলভ ভাষায় সমালোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিবন্ধিত দল হিসেবে জামায়াত ২০১৪ সালের নির্বাচনে আসতে না পারায় বিএনপি নেত্রীও নির্বাচনে আসতে চাননি। তাই তিনি নির্বাচনে অংশ নেননি।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জানেন তিনি দুর্নীতির রানী, জঙ্গিবাদের রানী, তার কথায় কেউ মাঠে নামবে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রীয় সর্ম্পদ রক্ষার করার স্বার্থে যা যা করণীয় দরকার সরকার তা করবে। এতে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। কেউ রক্ষা পাবে না। খালেদা জিয়াকে বলবো মানুষের উপর বিরূপ অত্যাচার বন্ধ করুন। মানুষ নিরাপদে চলতে চায়, শান্তিতে থাকতে চায়। দেশের জনগণকে ক্ষ্যাপাবেন না। দেশের জনগণ ক্ষেপলে আপনার রক্ষা হবে না।’
খালেদা জিয়া অবরোধের নামে বোমা মেরে, গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করছেন অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের ভিতরে মনুষত্য নাই, থাকলে কেউ এভাবে মানুষ হত্যা করতে পারতেন না।’
ইজতেমাতেও অবরোধ প্রত্যাহার না করায় খালেদার জিয়ার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খালদা জিয়া অবরোধ দিয়ে ইজতেমার মুসল্লিদের আটকে রাখতে পারে নাই। শান্তিপূর্ণভাবে ইজতেমার প্রথম পর্বের মুনাজাত শেষ হয়েছে। এ জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আমি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই।’ এসময় দলীয় নেতাকর্মীরা ইজতেমা নির্বিঘ্ন করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে দাবি করে তাদেরও ধন্যবাদ দেন তিনি।
এর আগে সোমবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেলা পৌনে ২টায় কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু হয়। তেলাওয়াত করেন ইলিয়াস হোসেন মির হেলালী। এছাড়াও গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক পাঠ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন। এসময় নেতাকর্মীরা তাকে স্লোগান ও করতালি দিয়ে স্বাগত জানায়। সমাবেশ সভাপতিত্ব করছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ সাজেদা চৌধুরী।