‘৭০০ দফা দিয়েও কাজ হবে না’
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেছেন, দেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই ২০১৯ সালে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে জামায়াতের ডাকা হরতালের প্রতিবাদে সম্মিলিত আওয়ামী সমর্থক জোটের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির ৭ দফা দাবীর জবাবে এ কথা বলেন। মায়া বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া সাত দফা দাবী পেশ করেছেন। তিনি সন্ত্রাসের পথ পরিহার না করলে সাত দফা নয়, সাতশ’ দফা দিয়েও কোন লাভ হবে না।তিনি বলেন, তাদের সাত দফার বিপরীতে আমাদের এক দফা হলো সংবিধান অনুযায়ী ২০১৯ সালের আগে দেশে কোন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না।
জোটের সভাপতি ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আব্দুল হক সবুজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, খাদ্যমন্ত্রী এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট কামরুল ইসলাম এম পি, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শামসুল হক টুকু ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।মায়া বলেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিদেশী প্রভুদের এবং স্বাধীনতা-বিরোধী শক্তির সহায়তায় ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখেছিল। তার এ স্বপ্ন কখনো বাস্তবায়িত হবে না।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে দেশের মানুষ দেশের স্বাধীনতা-বিরোধীদের বিচার এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছিল। তিনি বিচার তো দূরের কথা -তাদের মন্ত্রী বানিয়ে- গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছেন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুন্ঠিত করেছেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে সহায়তা এবং পৃষ্ঠপোষকতা দানের জন্য বেগম জিয়াকে একদিন বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।মায়া বলেন, বিএনপির নেতারাও খালেদা জিয়ার প্রতি আস্থা হারিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ শুরু করেছে। তারা কেন আওয়ামী লীগে আসতে চায়, সে ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।
এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করলে সরকারের কোন কিছু বলার থাকবে না। তবে বিগত দিনের মতো আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হলে জনগণের জান-মাল রক্ষায় সরকারের হাত গুটিয়ে বসে থাকার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, বিএনপির যে কোন সমাবেশের আগে দেশের মুক্তিযুদ্ধ, সংবিধান এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে করা বিএনপি নেতা তারেক রহমানের কটুক্তির জন্য নি:শর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।তিনি আরো বলেন, তানা হলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপির সভা-সমাবেশে বাধা দিলে আমাদের কোন কিছু করার থাকবে না।কামরুল বলেন, ২০১৩ সালের শেষের মত দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করা হলে বিএনপির জন্য যে বিপর্যয় নেমে আসবে- তা মোকাবেলা করার মতো শক্তি তাদের নেই। এ চরম সত্য উপলদ্ধি করে বিএনপি নেত্রী আন্দোলনের রণে ভঙ্গ দিয়েছেন।তিনি বলেন, তাদের এ পিছু হটা সাময়িক। তারা যে কোন সময় রণমূর্তি ধারণ করতে পারে। তাই তাদের সম্পর্কে আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীদের সচেতন থাকতে হবে।