জগন্নাথপুরে দুস্থদের কম্বল নিয়ে গেলেন ইউপি সদস্য
জগন্নাথপুর সংবাদদাতাঃ জগন্নাথপুর গরিব অসহায় দুস্থদের মধ্যে বিতরণকৃত দেড় শতাধিক কম্বল এক ইউপি সদস্য জোরপূর্বক নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩১টি কম্বল উদ্ধার করেছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, জগন্নাথপুর উপজেলার উন্নয়ন সংস্থা ইউকে এর উদ্যোগে একটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়নে গরিব অসহায় ছিন্নমুল মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরনের উদ্যোগ নেয়া হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার মীরপুর ইউনিয়নে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়। কর্মসূচীর উদ্বোধন করে অতিথিরা চলে গেলে শীতবস্ত্র হিসেবে বিতরণকৃত কম্বল ইউপি সদস্য সাহাব উদ্দিন রিক্সায় করে কাউকে না বলে জোরপূর্বক তার বাড়ি শ্রীরামসিতে নিয়ে যান। এনিয়ে আরেক ইউপি সদস্য রপা মিয়ার সাথে এনিয়ে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মীরপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জমির উদ্দিন বিষয়টি জগন্নাথপুর থানা পুলিশ কে অবহিত করেন। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানার এস.আই কবির আহমদের নের্তৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ইউপি সদস্য সাহাব উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ইউপি সদস্য সাহাব উদ্দিন ৩১টি কম্বল ইউনিয়ন কার্যালয়ে ফেরত পাঠায়।
মীরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জমির উদ্দিন জানান, ইউপি সদস্য কাউকে না বলে এভাবে দেড় শতাধিক কম্বল নিয়ে যাওয়ায় অপর ইউপি সদস্য ও জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্ঠি হয়। তাই আমি থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে তার বাড়ি থেকে ৩১টি কম্বল ফেরত আনায়।
ইউপি সদস্য সাহাব উদ্দিন অভিযোগ করেন বলেন, আমার ওয়ার্ডে বিতরনের জন্য কম্বল নিয়েছিলাম। পরে অভিযোগ করায় তা ফেরত দিয়ে দেই।
কম্বল বিতরণকারী আয়োজক সংগঠনের সভাপতি তাহের কামালী বলেন, আমরা কম্বল বিতরণী কার্যক্রম উদ্বোধন করে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের নিকট বুঝিয়ে দিয়ে আসি। পরে শুনেছি এধরনের ঘটনা ঘটেছে। উল্লেখ্য এর আগে দুপুর সাড়ে ১২ মীরপুর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে ৫০০ দরিদ্র জনসাধারনের মধ্যে কম্বল বিতরণ উপলক্ষে উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি তাহের কামালীর সভাপতিত্বে ও যুবলীগ নেতা বাদশা মিয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মীরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জমির উদ্দিন, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্রিটিশ বাংলা এডুকেশন ট্রাস্টের সাবেক ট্রেজারার আব্দুস শহীদ, যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল ওয়াহিদ,মাহবুবুল হক শেরীন, সাংবাদিক আব্দুল হাই, ইউপি সদস্য সাহাব উদ্দিন, আব্দুস ছোবহান,রফা মিয়া,মানিক মিয়া,যুবলীগ নেতা নজরুল মিয়া, সাবেক মেম্বর ইমান আলী,সংরক্ষিত নারী সদস্য রাজিয়া বেগম, আখিজান বিবি,আফিয়া বেগম প্রমুখ।
জগন্নাথপুর থানার এস.আই কবির আহমদ বলেন, মীরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে ইউপি সদস্যর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি কম্বল ফেরত পাঠান।