২৭ মিলিয়ন ডলার আয়ের পুরোটাই ধাপ্পাবাজি
নিউইয়র্ক থেকে এনা : এই খবরটি দুনিয়ায় তোলপাড় তুলেছিল। মোহাম্মদ ইসলাম নামের নিউইয়র্কের এক বালক বলেছিল সে স্টক মার্কেট থেকে ৭২ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। আর এটি সম্ভব হয়েছে স্কুলের লাঞ্চ আওয়ার এবং হোমওয়ার্ক শেষে অবসর সময় কাজে লাগিয়ে। ১৭ বছর বয়েসী এই বাংলাদেশীর বিশাল এই অর্থবিত্তের মালিক হওয়ার সপক্ষে ব্যাংকের বিবরণীও উপস্থাপন করা হয় নিউইয়র্কার ম্যাগাজিনের সাংবাদিকের কাছে। এ নিয়ে নিউইয়র্ক ম্যাগাজিন একটা ষ্টোরি করে। তা সকলের দৃষ্টি কাড়ে এবং ঐ স্টোরি ফলাও করে প্রচার করে নিউইয়র্কের ডেইলি নিউজসহ মূলধারার কয়েকটি মিডিয়ায়। অনলাইন মিডিয়ায় এ নিয়ে ঝড় উঠে। সকলেই জানতে চান ঐ বালকের বিস্ময়কার কাহিনী। একইসাথে সিএনএন, ওয়াশিংটন পোস্টসহ শীর্ষস্থানীয় মিডিয়াও মরিয়া হয়ে উঠে স্টক ব্যবসার এই বিস্ময়কর ঘটনার ওপর আরো বিস্তারিত প্রতিবেদনের জন্যে। এ ব্যাপারে অনুসন্ধান চালালে ঘটনাটি একেবারেই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে উদঘাটিত হয়। এরপর সেই ম্যাগাজিনের ’ক্ষমা প্রার্থনা’ থেকে জানা যাচ্ছে- এটা সে সাজিয়েছিল মিথ্যা ডকুমেন্ট বানিয়ে। যে কাগজপত্র সে রিপোর্টারকে দেখিয়েছিল- সবই ছিল ভূয়া।
১৭ বছর বয়সী বালক এমনটি কেন করলো? তা নিয়ে এখন বাংলাদেশী কম্যুনিটিসহ মুসলমান কম্যুনিটিতে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। ৪৮ ঘন্টার ব্যবধানে বাংলাদেশী-আমেরিকানদের মধ্যেকার আনন্দ-উচ্ছাস একেবারে মিলে গেল। লজ্জায় মাথা হেইট হয়ে গেল। আমরা কি প্রবাসে এমন প্রজন্ম চাইছি-এমন প্রশ্ন অনেকের। শুধু কম্যুনিটি নয়, সেরা এই হাই স্কুলের ব্যাপারেও সুধীজনে প্রশ্নের উদ্রেক ঘটেছে। এই স্কুলের ব্যাপারে নেতিবাচক আরো তথ্য এর আগে প্রকাশিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই বালকটি নিউইয়র্কের অন্যতম সেরা ম্যানহাটানের স্টাইভ্যাসেন্ট হাই স্কুলের দ্বাদশ গ্রেডের ছাত্র। মা-বাবার সাথে সে কুইন্সে বাস করে। এমন ভাওতাবাজির আশ্রয় সে কেন নিয়েছে সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়েছে। একইসাথে, স্কুল কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেবে তাও দেখার পালা।