জকিগঞ্জ-করিমগঞ্জ সীমান্তে সংযোগ সেতু হচ্ছে
জকিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ জকিগঞ্জ সীমান্তের জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশন সংলগ্ন কুশিয়ারা নদীর উপর ভারত একটি সেতু তৈরীর প্রাথমিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে করেছে বলে জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট শেখ আব্দুর রহমান জানিয়েছেন। বাংলাদেশ ভারতের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের নবম সভায় সম্প্রতি বিষয়টি আলোচিত হয়। ঐ সভায় দুই দেশের যে ২৫টি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় তার মধ্যে কুশিয়ারা নদীর উপর সেতু নির্মাণের বিষয়টি নয় নম্বর আলোচ্য সূচিতে অর্ন্তভূক্ত ছিল। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর চেয়ারম্যান গোলাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ঐ সভায় ভারতের রেভিনিউ সেক্রেটারী সুমিত বোস, ল্যান্ডপোর্ট অথরিটির চেয়ারম্যান ওয়াই এস সারায়াাত, এফটিএনটিআর-২ (সিবিডিটি) এর যুগ্মসচিব কে রামালিন গাম বাংলাদেশের কাষ্টমস (পরিকল্পনা) এর সদস্য ফরিদ উদ্দিনসহ কাষ্টম্স এর কমিশনারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জকিগঞ্জ-করিমগঞ্জ সেতুটি নির্মিত হলে দুই দেশের দীর্ঘ দিনের স্বপ্নই শুধু পূরণ হবে না পূর্নাঙ্গতা পাবে সাতষট্টি বছরের পুরনো শুল্ক স্টেশনটি। এখানে নির্মিত হবে অফিস ভবন, সীমানা প্রাচীর, পণ্যাগার, পেসেঞ্জার লাউঞ্জ, ব্যারাক, পানি সরবরাহ, পয়নিস্কাসন, পার্কিং ইয়ার্ড, মালামাল উঠানামানোর সিঁড়িসহ নানা অবকাঠামো। বাড়বে আমদানী রপ্তানী। বাঁচবে সময় কমবে খরচ। সবচেয়ে বড় কথা করিমগঞ্জ জকিগঞ্জের পুরনো সম্পর্কের উন্নয়নের পাশাপাশি দুই শহরের বাণিজ্যিক গুরুত্বও বাড়বে। তৈরী হবে নতুন কর্মসংস্থান।
রাজস্ব কর্মকর্তা শেখ আব্দুর রহমান জানান, সেতু বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ সেপ্টেম্বরে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশন পরিদর্শণ করেছেন। প্রায় দুই দশক আগে ভারতের কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য বেনু পুরকায়স্থ জকিগঞ্জ-করিমগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর উপর সেতু নির্মাণের প্রস্তাব করেছিলেন বলে জানা যায়।
বর্তমানে এ সুল্ক স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৩০ জন যাত্রী ভারতের আসাম, ত্রিপুরা, মনিপুরসহ বিভিন্ন রাজ্যে যাতায়াত করে । আমদানী নির্ভর এ স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৮-১০টি ট্রাকে করে কমলা, আদা, সাতকরা, শুটকি, পান, কয়লা, সুটকি, যন্ত্রাংশ , আংগুর, আপেলসহ বিভিন্ন ফলমুল আমদানী এবং বাংলাদেশ থেকে সীমিত পরিমাণে মশারীর কাপড়, সাবান ইত্যাদি রপ্তানী হয়।