অবশেষে শিক্ষার সুযোগ পেল মল্লিকপুর গ্রামের বঞ্চিত শিশুরা
কামাল হোসেন,তাহিরপুরঃ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বাদাঘাট ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রাম। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া একটি গ্রাম। জানাযায়, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরবর্তী ৪৩ বছরেও মুল্লিকপুর গ্রামে কোন প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল না। মল্লিকপুর গ্রামের পার্শবর্তী সব কয়টি প্রাথমিক বিদ্যালয় মল্লিকপুর থেকে ৩/৪ কিলোমিটার দুরবর্তী। তাই যুগযুগ ধরে শিক্ষা বঞ্চিত হচ্ছে ওই গ্রামের শিশুরা। এই শিক্ষা বঞ্চিত শিশুদের মুখে আধাঁরছেড়া আলোর ঝিঁলিক ফুটাতে মল্লিক পুর গ্রামের বিশিষ্ঠ শিক্ষানুরাগী আহমদ মল্লিকের ছেলে এ এইচ এম হমায়ুন মল্লিক এর নিজেস্ব উদ্যোগে সম্প্রতি তার বাবা আহমেদ মুল্লিকের দানকৃত ৩০ শতক জায়গার উপর একটি সেমি পাকা ঘরে গত ১লা ডিসেম্বর দাড় করালো ”মল্লিক পুর প্রাথমিক বিদ্যালয়” নামে একটি সাইনবোর্ড । এবং ২৫০ জন ছাত্রছাত্রী ও ৩ জন অভিজ্ঞ শিক্ষক সহকারে সাংবাদিক ও গ্রামবাসীদের উপস্থিতে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো এ বিদ্যালয়ের । হমায়ুন মল্লিক পেশায় একজন চাকুরীজিবী । স্বস্ত্রীক ঢাকায় বসবাস করেন । কিন্তু তার গ্রামের বাড়িতে কোন স্কুল না থাকায় মুকুলেই ঝরে পড়ছিল শতশত শিশুদের উজ্জল ভবিষ্যত। তার দায়বদ্বতা থেকেই তার বাবার দানকৃত জায়গার উপর দাড় করালন মল্লিকপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়টির। শিক্ষা বঞ্চিত ও ঝরেপড়া শিশুরা শিক্ষার সুযোগ পেল । আলোর মুখ দেখল অন্ধকাারাচ্ছন্ন একটি গ্রাম । মল্লিক পুরের ছাত্রছাত্রী অভিবাকগন তাদের সন্তানরা আলোর মুখ দেখায় খুব খুশী । অভিভাবক আল আমিন বলেন এই গ্রামে কোন স্কুল না থাকায় আমাদের সন্তানেরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত ছিল । নতুন এ প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত হওয়ায় দরীদ্র পরিবারের সন্তানেরা শিক্ষার আলোয় আলোকিত হবে। হুমায়ুন মল্লিকের জানান স্কুলটি সরকারী করন হওয়ার পুর্ব পর্যন্ত তিনি নিজেই ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষা উপকরন, শিক্ষকদের বেতন ভাতা পরিশোধ করবেন । হুমায়ন মল্লিকের এই উদ্যোগকে নি:সন্দেহে প্রসংশার দাবীদার বলে উল্লেখ করেছেন উপজেলার সকল শিক্ষক ,সাংবাদিক রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ ।