রহস্যময়ী যুবতীকে নিয়ে বিপাকে কুমেক!
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে মানসিক রোগী হিসেবে ভর্তি হওয়া কান্তা বাউল বসু নামের এক রহস্যময়ী যুবতীকে নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওই যুবতী গত চার দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও প্রকৃত স্বজনদের দেখা মেলেনি। তবে পড়ে নেই এই যুবতীর ঔষধ পত্র ও পেয়িং ব্যাডের খরচ বহন। রহস্যজনক ভাবে চালাচ্ছে এসব অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ নভেম্বর হাসপাতালে মানসিক রোগী হিসেবে প্রায় ২২ বছর বয়সী এক যুবতীকে এনে ভর্তি করায় কয়েকজন যুবক। ঐ যুবকেরা আবার গত ২৮ তারিখ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নেয়। কিন্তু ছাড়পত্র নেয়ার দুই দিন অতিবাহিত হলেও সে হাসপাতাল না ছেড়ে এলোমেলোভাবে ঘুরাফেরা করছে হাসপতালে।
মেয়েটি কারো সাথে কোনো কথা বলে না। কোনো কথা জিজ্ঞাসা করলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। কিন্তু মেয়েটি ভাড়া করা হাসপাতালের পেয়িং ব্যাডে থাকলেও মিলছে না কোনো পরিচিত জনের দেখা। মাঝে মাঝে কতিপয় বখাটেরা এসেও উত্যক্ত করছে। এ নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তার সঙ্গে মোবাইল ফোন, বেডিংপত্র, ফাইলে কম্পিউটারে বানানো সার্টিফিকেট কপি ও জন্ম নিবন্ধন সনদ রয়েছে। জন্ম সনদে তার নাম কান্তা বাউল বসু, পিতা-রঞ্জিত বাউল বসু, ডাক্তার পাড়া, ফেনী পৌরসভা লিখা রয়েছে। তবে ঘষামাজা এ সনদ প্রকৃত সনদ কিনা তা নিয়ে বেশ সন্দেহ রয়েছে।
এ বিষয়ে গত রাত সাড়ে ৮ টায় এ রির্পোট লিখার সময় কুমেক হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মানিক হোসেন জানান, হাসপাতালের কতৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। হাসপতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কোতয়ালী মডেল থানা ও ফেনী সদর থানাকে অবহিত করা হয়েছে। তথ্যসূত্রঃ বিডিলাইভ২৪